রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। চারটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে ইতিমধ্যেই করমুক্ত হয়েছে ছবিটি। বক্স অফিসের পাশাপাশি সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মাল্টিপ্লেক্স থেকে সিঙ্গল স্ক্রিন, সর্বত্র ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর টিকিট বিক্রি হচ্ছে ভালোই। কিন্তু ব্যবসা চুটিয়ে করলেও ছবিটি নিয়ে বিতর্ক কম হচ্ছে না। অনেকেই একে বিজেপি সরকারকে তোষামোদ করা ছবি বলে সমালোচনা করছেন। তালিকায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বিধানসভায় তিনি বলেছেন, “কেউ ভাইরাল ভিডিও দেখবেন না। কেউ সিনেমা দেখতে যাবেন না। সিনেমা যা দেখায় তা কখনো সত্যি হয় না। তাই সেগুলো বিশ্বাস করবেন না। এগুলি সব বানানো সিনেমা। এগুলো কখনো সত্যি হবে না। প্রচুর টাকা তাই খরচ করে এই সমস্ত সিনেমা বানায়। এগুলো বিশ্বাস করবেন না।” মমতার এই মন্তব্যের পর আরও জোরদার হয়েছে সমালোচনা। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তাঁর যদি ছবিটি নিয়ে আপত্তি থাকে, তাহলে তিনি ছবিটির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন না কেন বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে ছবি রিলিজ হওয়ার পর তা সিনেমাহল থেকে তুলে নেওয়ার উদারহণ রয়েছে। এর মধ্যে টাটকা হল ‘ভবিষ্যতের ভূত’।
অনীক দত্তের এই ছবিটি ছিল একটি পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। লাল, সবুজ, গেরুয়া- কোনও দলকেই অব্যহতি দেননি তিনি। গোটা ছবিটা জুড়ে তিনি রাজনীতির পঙ্কিল গলিপথের ছবি তুলে ধরেছেন। ছবি রিলিজের পরদিনই তা দেখানো বন্ধ করে দেয় রাজ্য সরকার। কারণ হিসাবে তখন বলা হয়েছিল, ছবিটি সাধারণ মানুষের আবেগে আঘাত দিতে পারে। তাই তা দেখানো যাবে না। যদিও এরপর ‘ভবিষ্যতের ভূত’ নিয়ে অনেক মামলা মোকদ্দমা হয়। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। রাজ্যের জরিমানাও হয়। আদালতের হস্তক্ষেপে কিছুদিন পর ফের দেখানো শুরু হয় ‘ভবিষ্যতের ভূত’।
<
p style=”text-align: justify;”>কিন্তু ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে এমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য। আর তা নিয়েই আঙুল উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। এবার মুখ্যমন্ত্রী কী পদক্ষেপ নেন, সেটাই দেখার। বিজেপি সরকারকে হাতে রাখতে কি তিনি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে এতটুকু বলেই মৌন থাকবেন? নাকি সরব হবেন ছবিটির বিরুদ্ধে? উঠছে এমন প্রশ্ন।