সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে কোভিড সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ভারতের জন্য নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। দেশজুড়ে একাধিক রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ফের ঊর্ধ্বমুখী। বাংলাও বাদ যাচ্ছে না। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক সূত্র।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রনের নতুন ই-সাব ভ্যারিয়ান্ট ‘পিরোলা’ (Pirola), যাকে বিজ্ঞানসম্মত ভাষায় JN.1 নামে চিহ্নিত করা হয়েছে, বর্তমানে সংক্রমণের জন্য মূলত দায়ী। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই ভ্যারিয়ান্টটি ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ বার মিউটেশন ঘটিয়েছে। যার ফলে এটি আগের তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক এবং মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সহজেই দুর্বল করে দিতে সক্ষম।
লক্ষণ কী কী?
পিরোলা ভ্যারিয়ান্টের সংক্রমণে দেখা যাচ্ছে ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীদের চোখে যন্ত্রণা, স্বাদ ও গন্ধ চলে যাওয়া, পেশীতে ব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিয়েছে। প্রবীণ নাগরিক, গর্ভবতী মহিলা ও কোমোর্বিডিটি থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ মারাত্মক রূপ নিতে পারে।
সতর্কতা জরুরি India COVID-19 Surge
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনবহুল জায়গায় গেলে অবশ্যই মাস্ক পরা উচিত। সেই সঙ্গে বারবার হাত ধোওয়ার অভ্যাস রাখতেও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। যাঁদের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি, তাঁদের ঘরের বাইরে অপ্রয়োজনে বের না হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
বাংলায় কী অবস্থা?
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, পশ্চিমবঙ্গের কিছু শহরে সংক্রমণের হালকা ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় রিপোর্ট করা কেসের সংখ্যা বাড়ছে। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেই আশ্বস্ত করছে প্রশাসন।
সচেতনতা ও সাবধানতাই এখন একমাত্র পথ। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে ফের বিধিনিষেধ জারির কথা ভাবা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন এক স্বাস্থ্য আধিকারিক।