বিগত কয়েক সিজনের মতো এই আইলিগ মরসুমটা একেবারেই ভালো যায়নি রাজস্থান ইউনাইটেডের (Rajasthan United FC)। প্রথম ম্যাচেই পরাজিত হতে হয়েছিল রিয়াল কাশ্মীরের কাছে। সেই হতাশা কাটিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী নামধারী এফসির বিপক্ষে দল ঘুরে দাঁড়ালেও বজায় থাকেনি সেই ধারাবাহিকতা। আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকতে খুব একটা সময় লাগেনি। পরবর্তীতে ফের আটকে যেতে হয় একের পর এক দুইটি ম্যাচে। এক্ষেত্রে পয়েন্ট নষ্ট করতে হয়েছিল শ্রীনিধি ডেকানের পাশাপাশি শিলং লাজং এফসির মতো দলের কাছে। সময়ের সাথে সাথে নিজেদের পুরনো ছন্দে ফেরার পরিকল্পনা নিয়ে মাঝে ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাবকে বিরাট বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছিল এই দল।
কিন্তু ছন্দপতন হতে বেশি সময় লাগেনি। আইজল ম্যাচ থেকে ফের দেখা দিয়েছিল তথৈবচ পরিস্থিতি। মাঝে শক্তিশালী রিয়াল কাশ্মীর দলকে আটকে দেশের এই দ্বিতীয় ডিভিশন লিগের প্রথম তিনে উঠে আসার লড়াইয়ে নিজেদের পথ প্রশস্ত করার ভাবনা থাকলেও সেই আশা কার্যত নিরাশায় পরিনত করে দিয়েছিল চার্চিল ব্রাদার্স। তারপর গোকুলাম ম্যাচ। সেখানে ও পিছু নেয় সেই হতশ্রী পারফরম্যান্স। স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্টের অন্যান্য দলগুলি তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল রাজস্থানের এই ফুটবল দল। শেষ পর্যন্ত ২২ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের পঞ্চম স্থানে শেষ করে এই ফুটবল ক্লাব।
একের পর এক শক্তিশালী ফুটবলারদের দলে নিয়ে ও এমন পারফরম্যান্স যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে দলের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স ভুলে আগামী সিজনে ঘুরে দাঁড়ানোই এখন প্রধান লক্ষ্য সকলের কাছে। সেইমত বহু আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল রাজস্থান ইউনাইটেড। এক্ষেত্রে মূলত দলের তরুণ ফুটবলারদের দিকেই বাড়তি নজর ছিল সকলে। যার মধ্যে এবার বারংবার উঠে আসতে শুরু করেছে থমিও শিমরের নাম। শেষ সিজনে স্পোর্টিং ক্লাব বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছিলেন বছর তেইশের এই ফুটবলার। যেখানে কুড়িটি ম্যাচে চারটি গোল ছিল তাঁর।
নয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করেই এবার তাঁকে দলে টানতে মরিয়া রাজস্থান ইউনাইটেড। এক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের তরফে। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে গোটা বিষয়টি।
