মোদী বলছেন ‘ভালো’ আর সমালোচকরা বলছেন ‘কুম্ভীরাশ্রু’ অর্থাৎ কুমিরের কান্না। বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) সিনেমা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
বিতর্কের কেন্দ্রে কাশ্মীর থেকে হিন্দুধর্মাবলম্বী পন্ডিতদের বিতাড়ন। অভিযোগ ধর্মীয় স্পর্শকাতর এই বিষয়টিকে বিজেপি তুলে ধরতে দ্য কাশ্মীর ফাইলস সিনেমার প্রচার চালাচ্ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে কর মকুব হয়েছে।
প্রশ্ন উঠছে, ১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরে বিজেপি সমর্থিত ভিপি সিং সরকার কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে। কাশ্মীর থেকে পন্ডিতদের অভিবাসন শুরু হয় ১৯৯০ সালের জানুয়ারি মাসে। অভিযোগ, তৎকালীন ভিপি সিং সরকারের শরিক হলেও পণ্ডিতদের নিয়ে বিজেপি নীরব ছিল এবং ১৯৯০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ভিপি সিংকে সমর্থন অব্যাহত রেখেছিল।
কেন বিজেপি তখন কাশ্মীরী পন্ডিতদের নিয়ে ভাবেনি? দ্য কাশ্মীর ফাইলস মুক্তির পর বিজেপিকে এই প্রশ্নে বিঁধতে শুরু করেছেন যুক্তিবাদীরা। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, নিছক ধর্মীয় উস্কানি দিতেই বিজেপি এই ছবি নিয়ে বেশি লাফালাফি করছে।
১৯৯০ নাগাদ জম্মু-কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত হন শ’য়ে শ’য়ে কাশ্মীরি পণ্ডিত। সেই ঘটনাটিকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। এই সিনেমা নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে বিজেপি শিবির। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন ‘এটি খুব ভাল একটি ছবি এবং এ ধরনের কাজ আরও হওয়া প্রয়োজন।
৯০ দশকের শুরুতে যে ঘটনা উপত্যকায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে ঘটে, যেভাবে ভিটেমাটি ছাড়া হতে হয় তাঁদের সে কথা প্রকাশ্যে আসুক অনেকেই অনেকেই চাননি। বহুদিন সত্যকে বারবার চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর একে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিজেপি, যারা পণ্ডিতদের জন্য কুমিরের অশ্রু ঝরিয়েছে, তারা তাদের কাশ্মীরে ফিরিয়ে আনেনি বা কেন্দ্রে দুই মেয়াদে এবং কাশ্মীরে এক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও কেন উপেক্ষিতদের পুনর্বাসন দেয়নি?
বিতর্ক সম্বল করে লাভের অঙ্ক চড়চড়িয়ে বাড়িয়ে নিচ্ছে দ্য কাশ্মীর ফাইলস।