মোদীর কাছে ‘পহেলগাঁও’ ‘সিঁদুর’ প্রসঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক দাবি রমেশের

ভারত-পাকিস্তানের (ramesh) মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং পহেলগাঁও হামলার প্রেক্ষিতে বিরোধী দলগুলির সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবির মধ্যে এনসিপি-এসসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের একটি মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে…

ramesh calls for meeting

ভারত-পাকিস্তানের (ramesh) মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং পহেলগাঁও হামলার প্রেক্ষিতে বিরোধী দলগুলির সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবির মধ্যে এনসিপি-এসসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের একটি মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা তুঙ্গে। পাওয়ার বলেছেন, জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে জড়িত সংবেদনশীল এবং গুরুতর বিষয়গুলি সংসদের মাটিতে আলোচনা করা উচিত নয়।

শরদ পাওয়ারের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া

তবে, কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা জয়রাম রমেশ (ramesh) এই বিষয়ে পাওয়ারের মন্তব্যের উপর কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, “শরদ পাওয়ারের বক্তব্যের উপর আমি কোনো মন্তব্য করব না। তবে, সমস্ত বিরোধী দল চায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে একটি সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হোক। তিনি আমাদের কথা শুনুন এবং আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিন। এছাড়াও সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকা উচিত।”

   

মোদীর ‘নীরবতা’ নিয়েও তীব্র সমালোচনা (ramesh)

জয়রাম রমেশ (ramesh) প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘নীরবতা’ নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন, যেখানে ট্রাম্প দাবি করেছেন যে তাঁর প্রশাসন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি ‘যুদ্ধবিরতি’ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে। রমেশ বলেন, “কংগ্রেস শুরু থেকেই অপারেশন সিঁদুরকে সমর্থন করে আসছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে ভাষণের আগে ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করেছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুই বলেননি।”

রমেশ (ramesh) আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর অনেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তিনি নীরব ছিলেন। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন। কেন ট্রাম্প সব ঘোষণা করছেন? ভারত-মার্কিন বাণিজ্য এবং ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধের মধ্যে কী সম্পর্ক? পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রধানমন্ত্রী—সবাই নীরব।”

জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন

সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো আলোচনা কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদ এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) ইস্যু নিয়ে হবে। তিনি ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত মন্তব্য এড়িয়ে যান। মোদী বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমানে শত্রুতা স্থগিত থাকলেও এটিকে কেবল একটি ‘বিরতি’ হিসেবে দেখা উচিত।

পাকিস্তানের পরবর্তী পদক্ষেপগুলি পর্যবেক্ষণ করে ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ভারতের অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস এবং অপারেশনকে তার যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা দেখে পাকিস্তান শত্রুতা বন্ধের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে। তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এবং হামলা থেকে বিরত থাকার আশ্বাস দিয়েছে।

Advertisements

প্রকাশিত CBSE-র ফলাফল, ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে মেয়েরা

শরদ পাওয়ার সর্বদলীয় বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন

অন্যদিকে, শরদ পাওয়ার সংসদের বিশেষ অধিবেশনের পরিবর্তে একটি সর্বদলীয় বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার বিরোধী নই। কিন্তু এটি একটি সংবেদনশীল এবং গুরুতর বিষয়। সংসদে এমন গুরুতর বিষয় নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বার্থে তথ্য গোপন রাখা প্রয়োজন।” পাওয়ার আরও বলেন, “বিশেষ অধিবেশন ডাকার পরিবর্তে আমরা সবাই মিলে একটি সর্বদলীয় বৈঠকে বসলে ভালো হয়।”

বিরোধী দল গুলির দাবি

বিরোধী দলগুলির দাবি (ramesh), পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে নিয়ে স্বচ্ছ আলোচনার জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন অত্যন্ত জরুরি। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা এবং ট্রাম্পের ঘোষণার পেছনের প্রেক্ষাপট জানা প্রয়োজন। রমেশ (ramesh) বলেন, “আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য রাখুন। তিনি কেন নীরব? ভারতের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস করা যায় না।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শরদ পাওয়ারের মন্তব্য এবং বিরোধী দলগুলির দাবির মধ্যে একটি সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। পাওয়ার গোপনীয়তার উপর জোর দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন, যেখানে বিরোধীরা প্রকাশ্যে আলোচনার জন্য সংসদীয় মঞ্চের দাবি করছে (ramesh)। এই পরিস্থিতিতে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, তা আগামী দিনে রাজনৈতিক মহলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এদিকে, পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি এবং ভারতের কঠোর অবস্থানের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই উত্তেজনার দিকে নজর রাখছে। ট্রাম্পের হঠাৎ ঘোষণা এবং ভারতের নীরবতা এই ইস্যুতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো সরকারি বিবৃতি জারি করা হয়নি, যা বিরোধীদের সমালোচনাকে আরও তীব্র করেছে।