India Unleashes Water Warfare: সাম্প্রতিক দিনগুলোতে উপমহাদেশের উত্তপ্ত সীমান্ত রাজনীতি নতুন মোড় নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পাকিস্তান লাগাতার মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারতের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। যুদ্ধক্ষেত্রে ময়দানের লড়াইয়ের পাশাপাশি এবার জল নিয়ে শুরু হল কৌশলগত চাপ। পাকিস্তানের আগ্রাসনের জবাব দিতে গিয়ে ভারত ব্যবহার করল তার এক অন্য অস্ত্র — জল। খুলে দেওয়া হল চন্দ্রভাগা বা চিনাব নদীর ওপর নির্মিত বাঁধ, যার জেরে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে পাকিস্তানে।
আক্রমণ শুরু পাকিস্তানের
বৃহস্পতিবার রাত থেকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ও সীমান্তে ভারতীয় চৌকিগুলোর ওপর পরপর মিসাইল ও ড্রোন হানা চালায়। এছাড়াও পাকিস্তানি সেনা নিয়ম ভেঙে লাগাতার গোলাগুলি ছুঁড়েছে। সাধারণ মানুষ ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর উদ্দেশে এই বর্বর হামলার পেছনে রয়েছে পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসনের উস্কানি।
ভারতের পাল্টা জবাব
ভারতও বসে থাকেনি। সীমান্তে কঠিন জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের একাধিক পোস্ট ধ্বংস হয়ে গেছে বলে সূত্রের খবর। তবে এবার ভারত শুধু কাঁধে রাইফেল নয়, ব্যবহার করেছে প্রকৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তিকে—জল।
চন্দ্রভাগা বাঁধ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
ভারতের জল সম্পদ মন্ত্রকের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, চিনাব বা চন্দ্রভাগা নদীর উপর থাকা বাঁধের জল ছেড়ে দেওয়া হবে। এই নদী পশ্চিম থেকে ভারতে প্রবেশ করে এবং জম্মু-কাশ্মীর হয়ে পাকিস্তানে চলে যায়। বাঁধ খুলে দেওয়ার ফলে প্রবল গতিতে জল নেমে আসতে শুরু করে পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও সিন্ধু অঞ্চলের দিকে।
কৌশলগত চাপের কৌশল
পাকিস্তান বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক জলচুক্তির সুযোগ নিয়ে ভারতের ওপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি করেছে। এবার ভারত সেই একই অস্ত্র তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করল। চন্দ্রভাগা নদীর জলছাড়া পাকিস্তানের কৃষি নির্ভর অঞ্চলগুলিতে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বহু চাষের জমি ইতিমধ্যে জলের নিচে চলে গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, একাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে এবং বহু মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভারতের বার্তা স্পষ্ট
এই পদক্ষেপে ভারতের তরফে দেওয়া হয়েছে এক কঠিন বার্তা—শুধু অস্ত্র নয়, জলও হতে পারে অস্ত্র। এবং সেই অস্ত্র ব্যবহারে ভারত পিছপা হবে না। ১৯৬০ সালের ইন্দাস জলচুক্তি অনুযায়ী, ভারত চিনাব, ঝেলম ও সিন্ধু নদীর ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পায়নি ঠিকই, তবে বাঁধের জল নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ভারতীয়দের কাছেই রয়েছে। সেই সুযোগেই ভারতের এই কৌশলগত পাল্টাঘাত।
বিশ্ববাসীর চোখ এখন দক্ষিণ এশিয়ার দিকে
এই ঘটনার পর দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতির সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেছে। রাষ্ট্রসংঘ, আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। ভারতের এই কৌশলগত পদক্ষেপকে অনেকেই বলছেন ‘ওয়াটার ওয়ারফেয়ার’-এর সূচনা।