বায়ু সেনার আক্রমণে ধ্বংস পাক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান, নিহত পাইলট

ভারতের জম্মু, পাঞ্জাব এবং রাজস্থান অঞ্চলে পাকিস্তানের অব্যাহত গোলাবর্ষণের মধ্যে ভারতীয় সেনার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তান (pakistani) বিমান বাহিনীর একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে…

pakistani f 16 shot down

ভারতের জম্মু, পাঞ্জাব এবং রাজস্থান অঞ্চলে পাকিস্তানের অব্যাহত গোলাবর্ষণের মধ্যে ভারতীয় সেনার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তান (pakistani) বিমান বাহিনীর একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে । এই ঘটনা ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের পাল্টা আক্রমণের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা পহেলগাঁও যে জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ৭ মে ভোরে শুরু হয়েছিল। এই ঘটনায় জম্মু ও কাশ্মীরের আকাশে উত্তেজনা বেড়েছে, এবং ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শক্তি প্রদর্শিত হয়েছে।

এফ-১৬ ভূপাতিতের বিবরণ (pakistani)

জম্মু ও কাশ্মীরের আখনুর এলাকায় ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পাকিস্তানের (pakistani) একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত তথ্য এবং কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিমান ভূপাতিত হয়, যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনী বা সরকারের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। কিছু সূত্র দাবি করেছে, পাকিস্তানি পাইলট বিমান থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাননি, এবং তিনি নিহত হয়েছেন (pakistani)। এই ঘটনা ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা এবং তৎপরতার প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

   

এফ-১৬, যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন কর্পোরেশনের তৈরি একটি চতুর্থ প্রজন্মের মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান, পাকিস্তান (pakistani) বিমান বাহিনীর গর্বের প্রতীক। এটি উচ্চ গতিসম্পন্ন (ম্যাক ২) এবং ভারী অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। পাকিস্তান ১৯৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই বিমান সংগ্রহ করে, এবং এটি বিমান প্রতিরক্ষা, ইন্টারসেপশন এবং আক্রমণ মিশনে ব্যবহৃত হয়। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে এই বিমান আক্রমণাত্মকভাবে ব্যবহার করতে পারে না।

জম্মু, পাঞ্জাব ও রাজস্থানে গোলাবর্ষণ

পাকিস্তান (pakistani) ৭ মে রাত থেকে জম্মু, পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকায় গোলাবর্ষণ শুরু করে। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ, রাজৌরি এবং ভিম্বর গলি সেক্টরে ভারী গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। পাঞ্জাবের আকালিয়া কালান গ্রামে একটি অজ্ঞাত বিমান বিধ্বস্ত হয়, যাতে একজন শ্রমিক নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়। রাজস্থানে সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলে গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই গোলাবর্ষণের জবাবে ক্যালিব্রেটেড পদ্ধতিতে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।

জম্মু বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের ড্রোন হামলা, শহর জুড়ে ব্ল্যাক আউট

অপারেশন সিঁদুর ও পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

এই ঘটনার পটভূমি হল ভারতের অপারেশন সিঁদুর , যেখানে ৭ মে ভোরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে (pakistani) নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালায়। এই অভিযানে জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়, এবং ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়। এই হামলা ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পরিচালিত হয়, যেখানে ২৬ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়।

পাকিস্তান (pakistani) এই হামলার জবাবে ভারতের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। জম্মু, শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা এবং রাজস্থানের কয়েকটি এলাকায় এই হামলা লক্ষ্য করা হয়। ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই আক্রমণ প্রতিহত করে। ৮ মে সকালে ভারত পাকিস্তানের লাহোরে এইচকিউ-৯ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় হারপি ড্রোন দিয়ে পাল্টা হামলা চালায়।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্যাসিফিক কমান্ডিং জেনারেল রোনাল্ড ক্লার্ক জানিয়েছেন, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। চীন এই হামলাকে “দুঃখজনক” বলে অভিহিত করে উভয় দেশকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছে। লন্ডন থেকে তেল আবিব পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ ভারতের প্রতিশোধমূলক হামলাকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ হিসেবে সমর্থন করেছে।

জনজীবনে প্রভাব

জম্মু ও কাশ্মীরে ব্ল্যাকআউট এবং মোবাইল পরিষেবা বন্ধের কারণে জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেন। পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ভারতের ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪২ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভারতের হামলায় তাদের ২৬ জন নিহত হয়েছে।

পাকিস্তানের (pakistani) এফ-১৬ ধ্বংস হওয়া ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শক্তি এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান প্রদর্শন করে। তবে, অব্যাহত গোলাবর্ষণ এবং উত্তেজনা দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বাধা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ এবং উভয় দেশের সংযম এই সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisements