নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিন মামলায় ফের চাপে পড়ল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই অভিযোগ তোলে, রাজ্য সরকার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সহ-অভিযুক্তদের ট্রায়াল শুরু করার অনুমোদন দিচ্ছে না। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই রাজ্যের প্রতি কড়া বার্তা দেয় শীর্ষ আদালত।
সিবিআই-এর পক্ষ থেকে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু জানান, কলকাতা হাই কোর্ট একাধিকবার(Partha Chatterjee) রাজ্য সরকারকে অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করেছে, (Partha Chatterjee) কিন্তু তাও রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এতে তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রিতা পাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বলেন, “দেখি আমাদের নির্দেশ পালন করে কি না রাজ্য।” আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে অনুমোদন সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনুমোদন মিললেই অভিযুক্তদের(Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে ট্রায়াল শুরু করা যাবে এবং নিম্ন আদালত সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে।
এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে ১৭ জুলাই। ওই দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ(Partha Chatterjee) বাকি আটজন অভিযুক্তের জামিনের আবেদনের উপর শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ইডি (প্রবেশনারি ডিরেক্টরেট)-র করা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেলেও, সিবিআই-এর করা মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনও (Partha Chatterjee) জেলেই রয়েছেন। তাই এবার সিবিআই মামলায় জামিন চেয়ে তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেখানকার ডিভিশন বেঞ্চে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের মধ্যে মতানৈক্য হওয়ায় মামলাটি সমাধান হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি পৌঁছে যায় সুপ্রিম কোর্টে।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই মামলাকে কেন্দ্র (Partha Chatterjee) করে আবারও নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের (Partha Chatterjee) ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ছে। সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই-এর তরফে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, অভিযুক্তদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে রাজ্যের অনুমোদন না থাকাটাই মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীর্ষ আদালতের(Partha Chatterjee) নির্দেশের পর রাজ্য সরকারকে বাধ্য হয়েই তার অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।
রাজনীতির ময়দানে এই মামলার প্রভাবও কম নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chatterjee) এক সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর গ্রেপ্তারি রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। এবার জামিন (Partha Chatterjee) প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের সক্রিয় হস্তক্ষেপ রাজ্য সরকারকে আরও চাপের মুখে ফেলেছে।
সব মিলিয়ে, এখন নজর আগামী দুই সপ্তাহের উপর। রাজ্য সরকার কি আদৌ (Partha Chatterjee) অনুমোদন দেবে, নাকি ফের আইনি জটিলতা তৈরি হবে, তা দেখার বিষয়। আর ১৭ জুলাইয়ের শুনানি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে।