Pahalgam Attack: পাকিস্তানের সঙ্গে ‘কূটনৈতিক যুদ্ধে’ নেমেছে ভারত। ‘অকল্পনীয় শাস্তি দেব!’ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর বার্তার পরই প্রত্যাঘাতে নেমেছে ভারত। জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জঙ্গির খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। জল-স্থল-বায়ু, প্রতিটি পথেই প্রস্তুতি জোরদার করছে ভারত। প্রত্যাঘাতের সমস্ত প্রস্তুতি সারছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
বৃহস্পতিবার নৌসেনার আইএনএস সুরত থেকে মিসাইল পরীক্ষার পর আজ শুক্রবার শুরু হল আকাশপথে টহলদারি। উত্তরবঙ্গের আকাশপথে প্রাথমিক মহড়া শুরু করল ভারতীয় বায়ুসেনা। এই সামরিক মহড়ার নাম ‘আক্রমণ’ (Exercise Akraman)। জানা যাচ্ছে, বাগডোগরা, হাসিমারার বায়ুসেনা ছাউনিতে বেড়েছে তৎপরতা। উত্তরবঙ্গের আকাশে শক্তি প্রদর্শন করতে দেখা গেল রাফাল যুদ্ধবিমানকে। উত্তরবঙ্গ ছাড়া অসম এবং অরুণাচলের ঘাঁটিতেও বাড়ল টহলদারি।
উত্তরবঙ্গ ছাড়া হরিয়ানার অম্বলা এয়ারবেসেও দেখা মিলল রাফাল-সুখোই যুদ্ধবিমান। তবে সেনার তরফে জানানো হয়েছে এগুলো রুটির সামরিক মহড়ার মধ্যে পড়ে এবং এর সঙ্গে ‘প্রত্যাঘাতের’ কোনও সম্পর্ক নেই।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে বিহারের মধুবনী থেকে কড়া বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারত সর্বশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের খুঁজে বের করবে- এই বার্তার কয়েক ঘণ্টা পরই আরব সাগরে মিসাইল ছোড়ে ভারতীয় নৌসেনা। মঙ্গলবার কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পরের দিন বুধবার তিন বাহিনিকে (জল-স্থল-নৌবাহিনী) প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নির্দেশ দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেয় ভারতীয় নৌসেনা। আরব সাগরে মিসাইল ছোড়ে নৌসেনা। উল্লেখ্য, আরব সাগরে চলছিল পাক নৌসেনার মহড়া। তার মধ্যেই মিসাইল ফায়ারের মহড়া চালায় ভারত।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারের মধুবনী থেকে এদিনই বার্তা দেন যে ভারত সর্বশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের খুঁজে বার করবে। তাদের প্রশ্রয়দাতাদের কড়া শাস্তি দেওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। এই বার্তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরব সাগরে মিসাইল ফায়ার করে INS সুরত। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে এটি ছিল পাকিস্তানের চলমান নৌ-মহড়ার পাল্টা বার্তা ভারতের।
নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে আরব সাগরে মহড়া চালাচ্ছিল পাকিস্তান। ভারতকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা যে তারা আরব সাগরে প্রস্তুত রয়েছে। তবে ভারতীয় নৌবাহনী বুঝিয়ে দিয়েছে যে ওরা আঘাত করলে ভারত চুপ করে বসে থাকবে না। ভারত শক্তি প্রদর্শন করে। আইএনএস সরত থেকে পরপর মিসাইল ছোড়ে নৌসেনা। অপর দিকে, সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে যে রাফাল এবং সুখোই দুই যুদ্ধবিমানকে নর্দার্ন কমান্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।