রাজনীতির ময়দান ছেড়ে বিয়ের মণ্ডপে, জমজমাট আইডিয়াল ভিলা, অতিথি আপ্যায়নে রয়েছে চমক!

শুক্রবার বিকেলে যখন শহর কলকাতার রাস্তায় স্বাভাবিক যানচলাচল চলছে, তখন নিউ টাউনের এক কোণে সাজো সাজো রব। কারণ একটাই—প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও প্রাক্তন সাংসদ…

Ex-BJP MP Dilip Ghosh Ties the Knot on Friday Evening: Who Were the Guests at the Intimate Ceremony

শুক্রবার বিকেলে যখন শহর কলকাতার রাস্তায় স্বাভাবিক যানচলাচল চলছে, তখন নিউ টাউনের এক কোণে সাজো সাজো রব। কারণ একটাই—প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ (Dilip Ghosh Wedding) ঘোষের বিয়ে। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই এখন বাংলার রাজনীতির সব চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। কাটখোট্টা রাজনীতির কাঁটাতার পেরিয়ে এবার দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh Wedding)  নতুন জীবনের পথে পা রাখলেন।

Advertisements

দীর্ঘদিন রাজনীতির মাঠে লড়াই করা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh Wedding)  ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই খুব গোপনীয় ছিল। সংবাদমাধ্যম হোক বা রাজনৈতিক মঞ্চ—তিনি সবসময় ছিলেন নিজের কাজ নিয়ে, আত্মপ্রচারে তেমন আগ্রহ দেখাননি। কিন্তু এই বিয়ের খবর সামনে আসতেই যেন সমস্ত আলো এখন তাঁর দিকেই।

   

শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, নিউ টাউনের ‘আইডিয়াল ভিলা’য় অনুষ্ঠিত হয় দিলীপ ঘোষের বিয়ে। সকাল থেকেই সেখানে শুরু হয় অতিথি আপ্যায়নের প্রস্তুতি। বিয়ের গোধূলি লগ্নে বসে মণ্ডপ, ফুলে ফুলে সাজানো বাড়ি, মুখরিত পরিবেশ—সব মিলিয়ে যেন একেবারে পারিবারিক আনন্দঘন মুহূর্ত।

অনুষ্ঠানটি ছিল ঘরোয়া পরিসরে, তবে অতিথি তালিকায় উপস্থিত ছিলেন একাধিক রাজনৈতিক হেভিওয়েট। শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, কেন্দ্রীয় নেতা মঙ্গল পাণ্ডে, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সুনীল বনশল, শমিক ভট্টাচার্যসহ আরও অনেকে। তারা প্রত্যেকেই নবদম্পতিকে ধুতি, শাড়ি, মিষ্টি ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh Wedding)  মা পুষ্পলতা ঘোষ অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান এবং পুত্রের নতুন জীবনের জন্য আশীর্বাদ ছড়িয়ে দেন। অতিথিদের জন্য ছিল রিটার্ন গিফটের ব্যবস্থাও—একটি ছোট অথচ পরিপাটি প্যাকেটে সাজানো ছিল মিষ্টি ও একটি স্মৃতিচিহ্ন।

বিয়ের আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় আইনানুগ ও বৈদিক রীতিতে। ম্যারেজ রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন এবং দুই পক্ষের অল্প কয়েকজন আত্মীয়স্বজন সাক্ষী হিসেবে বিয়েতে যোগ দেন। সবকিছুই হয়েছে খুব স্বচ্ছ, শান্ত ও শালীন পরিবেশে।

Advertisements

এদিকে বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় শুভেচ্ছার বন্যা। প্রথম শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনিও জানান, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও দিলীপবাবুর (Dilip Ghosh Wedding) ব্যক্তিগত জীবনের এই খুশির মুহূর্তে তিনি তাঁর পাশে আছেন এবং শুভকামনা জানাচ্ছেন।

রাজনীতির ময়দানে দীর্ঘদিন কাজ করার পরে, এমন এক ব্যক্তিত্বের বিয়ে হওয়াটা নিঃসন্দেহে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। যাঁকে আমরা সবসময় রাজনীতির গম্ভীর আলোচনার মধ্যে দেখতে অভ্যস্ত, তাঁকে এমন এক পারিবারিক ও ব্যক্তিগত মুহূর্তে দেখতে পাওয়াটা যেমন চমকপ্রদ, তেমনই আনন্দেরও।

দিলীপ ঘোষ নিজেও জানিয়েছেন, তিনি চেয়েছিলেন ছোট পরিসরে, ঘরোয়া পরিবেশে এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করতে। সংবাদমাধ্যমের সামনে খুব বেশি কিছু না বললেও, তাঁর চোখেমুখে স্পষ্ট ছিল আনন্দ ও তৃপ্তির ছাপ।

বিয়ের এই আনন্দঘন পরিবেশ যেন কিছুক্ষণের জন্য হলেও রাজনীতির কাঁদা ছোড়াছুড়িকে থামিয়ে দিয়েছে। এই মুহূর্তে সব পক্ষই যেন একসুরে বলছে—নবদম্পতির জন্য শুভকামনা।