ভারতে আধিপত্য বিস্তার করবে ‘রাফাল’, ফ্রান্সের সঙ্গে বড় চুক্তির সম্ভাবনা আর্মির

Rafale: ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) তাদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়ে, IAF এখন তার বহরে রাফাল যুদ্ধবিমানের সংখ্যা বাড়াতে চলেছে।…

French Rafale Jets

Rafale: ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) তাদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়ে, IAF এখন তার বহরে রাফাল যুদ্ধবিমানের সংখ্যা বাড়াতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে, ফ্রান্স সরকার এবং ভারত সরকারের (G2G) মধ্যে একটি চুক্তির আওতায় আরও 40টি রাফাল বিমান (Rafale fighter jet) কেনা যেতে পারে। এই পরিকল্পনাটি এমন এক সময়ে করা হয়েছে যখন ভারতীয় নৌবাহিনীও তাদের শক্তি বৃদ্ধি করে ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান (Rafale-M Fighter Jet) কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য এই চুক্তি করা হচ্ছে।

Advertisements

আইএএফকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করা হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনাতে যুদ্ধবিমানের ঘাটতি পূরণ এবং এটিকে শক্তিশালী করার জন্য এই পরিকল্পনাগুলি করা হচ্ছে। সম্প্রতি, মন্ত্রিসভা কমিটি নৌবাহিনীর জন্য ২৬টি রাফাল-এম বিমানের জন্য ৬৩,০০০ কোটি টাকার একটি চুক্তি অনুমোদন করেছে। ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু ২০২৫ সালের এপ্রিলের শেষের দিকে ভারত সফর করতে পারেন। আশা করা হচ্ছে যে এই সময়ের মধ্যে নৌবাহিনীর জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। এই চুক্তিগুলিকে ভারতের সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

   

কৌশলটি নতুন নয়
ফ্রান্স থেকে আরও ৪০টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা ভারতের পূর্ববর্তী কর্মসূচিকে এগিয়ে নেওয়ার কৌশল, নতুন কোনও উদ্যোগ নয়। আইএএফ-এর বর্তমানে মাত্র ৩১টি ফাইটার স্কোয়াড্রন রয়েছে, যেখানে সেনাবাহিনীর শক্তি ৪২.৫।

Advertisements

এই ঘাটতি পূরণের জন্য, বায়ুসেনার নৌবহরকে আরও উন্নত করার প্রয়োজন। অন্যদিকে, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং বলেছেন যে, ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি বজায় রাখার জন্য, প্রতি বছর ৩৫ থেকে ৪০টি নতুন যুদ্ধবিমান বহরে যুক্ত করা প্রয়োজন। বিশেষ করে এমন এক সময়ে যখন মিগ-২১ এবং জাগুয়ারের মতো যুদ্ধবিমানগুলি অবসর নিতে চলেছে। তবে, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) বায়ুসেনাকে ৯৭টি দেশীয় তেজস MK-1A যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য দ্রুত কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে যে সেনাবাহিনী ২০৩০ সালের মধ্যে বিমানটি পাবে।