ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা: সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কী বলছে ED-এর চার্জশিট?

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ৯ এপ্রিল চার্জশিট…

National Herald case

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ৯ এপ্রিল চার্জশিট জমা দেওয়ার পর, বিশেষ বিচারক বিশাল গগনে তা গ্রহণ করেন এবং মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে ২৫ এপ্রিল।

Advertisements

চার্জশিটে সোনিয়া গান্ধীকে করা হয়েছে ‘অভিযুক্ত নম্বর ১’ এবং রাহুল গান্ধী ‘অভিযুক্ত নম্বর ২’। তাঁদের পাশাপাশি নাম রয়েছে কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ সুমন দুবে, স্যাম পিত্রোদা, দুই সংস্থা—‘ইয়ং ইন্ডিয়ান’ ও ‘ডোটেক্স মার্চেন্ডাইজ’, এবং ডোটেক্সের কর্ণধার সুনীল ভাণ্ডারীর।

   

কী অভিযোগ এনেছে ED? National Herald case

ED-এর দাবি, অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি (AICC) ও অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (AJL)-এর শীর্ষ কর্মকর্তারা মিলে একটি ‘অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে’ জড়িয়েছিলেন। টার্গেট ছিল—AJL-এর প্রায় ₹২০০০ কোটির সম্পত্তি নিজেদের দখলে নেওয়া।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের আয়কর দফতরের মূল্যায়ন অনুযায়ী, মাত্র ₹৫০ লক্ষ টাকায় ইয়ং ইন্ডিয়ান নামের একটি প্রাইভেট কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয় AJL-এর ৯৯% শেয়ার। সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী ওই কোম্পানির ৩৮% করে শেয়ারহোল্ডার। বাকি ২৪% ছিল কংগ্রেসের দুই প্রবীণ নেতা, প্রয়াত মৎলাল ভোরা ও অস্কার ফার্নান্ডেজের হাতে।

ED-র বক্তব্য, AICC যে ₹৯০.২১ কোটির ঋণ দিয়েছিল AJL-কে, সেটিকে রূপান্তর করা হয় শেয়ারে, যার বাজারমূল্য ছিল ₹৯.০২ কোটি মাত্র। পরে এই শেয়ার হাতে আসে ইয়ং ইন্ডিয়ানের, যার ফলস্বরূপ সোনিয়া-রাহুলের হাতে কার্যত চলে আসে AJL-এর মালিকানা। আর এই AJL-ই ছিল ঐতিহাসিক ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার মালিক, যার নামে রয়েছে একাধিক দামী সম্পত্তি।

‘নন-প্রফিট’ নাম, কিন্তু কাজ করত ‘প্রফিট’-এর মতো? National Herald case

যদিও ইয়ং ইন্ডিয়ান Section 25-এর আওতায় একটি ‘নন-প্রফিট’ সংস্থা হিসেবে রেজিস্টার্ড, কংগ্রেসের দাবি অনুযায়ী যার কোনও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ছিল না। তবে ED দাবি করেছে, এই সংস্থার নামেই একাধিক রিয়েল এস্টেট দখল করা হয়েছে, এবং এর কোনও সমাজসেবামূলক খরচের প্রমাণ মেলেনি।

অভিযোগ আরও গুরুতর—ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রায় ₹৪১৪ কোটি টাকার আয়কর ফাঁকি দিয়েছে, AJL-এর সম্পত্তি ‘অবৈধভাবে’ দখল করে।

Advertisements

কী হতে পারে সাজা? National Herald case

ED এই মামলায় মানি লন্ডারিং আইনের (PMLA) একাধিক ধারা প্রয়োগ করেছে—ধারা ৩, ৪, ৪৪, ৪৫ এবং ৭০। সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।

মামলার পেছনের গল্প National Herald case

এই মামলার সূত্রপাত ২০১৪ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর একটি অভিযোগ থেকে। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই দিল্লির একটি আদালত বিষয়টি গ্রহণ করে। এরপর ২০২১ সালে ED তদন্ত শুরু করে এবং এবার সেই তদন্ত গড়াল চার্জশিটে।

এই মামলার প্রভাব National Herald case

এই মামলা কেবল কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতাকে আইনি চাপে ফেলছে না, বরং আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক উত্তাপও বাড়িয়ে তুলছে।

Bharat: ED files chargesheet against Sonia Gandhi & Rahul Gandhi in National Herald case, alleging money laundering. Accused include Congress leaders & companies Young Indian & Dotex Merchandise. Court hearing set for April 25. Details on AJL property worth ₹2000 crore.