ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL 2025) ১৮তম আসরের জন্য ডঙ্কা বেজে উঠেছে। আইপিএল ২০২৫-এর উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB)। তার আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) নয়া নিয়ম জারি করেছে। আসন্ন মরসুমের জন্য একটি ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় বল ব্যবহারের নতুন নিয়ম চালু করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিসিসিআই এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (IPL 2025) পরিচালনা কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) মুম্বাইয়ের ক্রিকেট সেন্টারে অধিনায়ক ও ম্যানেজারদের বৈঠকে ঘোষণা করেছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আইপিএল (IPL 2025) ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের ১১তম ওভারের পর দ্বিতীয় বলটি খেলায় আনা হবে। এই নিয়মের প্রধান উদ্দেশ্য হলো রাতের ম্যাচগুলোতে শিশিরের প্রভাব মোকাবিলা করা। এটি প্রায়শই খেলার গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন করে দেয়। দ্বিতীয় বলের প্রবর্তনের ফলে শিশিরের কারণে টস জয়ী অধিনায়কের যে সুবিধা হতে পারত, তা কার্যত বাতিল হয়ে যাবে। এর ফলে ম্যাচগুলোতে আরও সমতা বজায় থাকবে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ উপহার বিশ্বকাপ জয়ী মেসির
এছাড়াও BCCI লালার ব্যবহারের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। আগে থেকেই লালার ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি প্রায় নিশ্চিতই ছিল। বিশেষ করে মোহাম্মদ শামির মতো একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় যখন এই নিয়ম বাতিলের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটি ম্যাচের পর শামি বলেছিলেন, “আমরা সবসময় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করে আসছি যেন লালা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়, যাতে ম্যাচে সুইং এবং রিভার্স সুইং খেলায় আসে।” তার এই আবেদনের সমর্থনে ভার্নন ফিল্যান্ডার এবং টিম সাউদির মতো আন্তর্জাতিক তারকারাও এতে যুক্তি দেখেছেন।
কোভিড-১৯ মহামারীর সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) ভাইরাসের বিস্তার রোধে লালার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। কিন্তু মহামারী এখন পিছনে ফেলে আসায় এই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছিল। শামি বিশ্ব ক্রিকেটে এই পরিবর্তনের জন্য অন্যতম প্রধান কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন। তার যুক্তি ছিল, লালা ব্যবহারের অনুমতি দিলে বলের সুইং বাড়বে এবং খেলা আরও প্রতিযোগিতামূলক হবে। বিসিসিআই অবশেষে এই দাবি মেনে নিয়ে নিয়মে পরিবর্তন এনেছে।
দ্বিতীয় বলের নিয়ম
দ্বিতীয় বল ব্যবহারের সিদ্ধান্তটি আম্পায়ারদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, “বল পরিবর্তন করা দরকার কিনা, তা আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নেবেন। শিশিরের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে তারা এই সিদ্ধান্ত নেবেন।” ফলে এই নিয়মটি মূলত রাতের ম্যাচগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে। দিনের ম্যাচগুলোতে শিশিরের প্রভাব কম থাকায় সেখানে দ্বিতীয় বল ব্যবহারের সম্ভাবনা কম। এই নিয়মের মাধ্যমে বিসিসিআই রাতের খেলায় শিশিরের কারণে সৃষ্ট অসুবিধা কমাতে চায়।
খেলার উপর প্রভাব
রয়্যাল বেঙ্গলের বিরুদ্ধেে ক্ষিপ্ত হচ্ছে ব্লুটাইগার্সদের ‘রাজা’
দ্বিতীয় বলের প্রবর্তন এবং লালার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া আইপিএল-এর গতিশীলতায় পরিবর্তন আনবে। শিশিরের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করা দলগুলোর জন্য প্রায়শই খেলা কঠিন হয়ে পড়ে, কারণ বল ভিজে গিয়ে গ্রিপ হারায়। নতুন বল ব্যবহারের ফলে বোলাররা শেষের ওভারগুলোতে আরও নিয়ন্ত্রণ পাবেন। অন্যদিকে, লালার ব্যবহারে সুইং এবং রিভার্স সুইং ফিরে আসায় বোলারদের হাতে অতিরিক্ত অস্ত্র যোগ হবে। এটি খেলাকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে।