দেশীয় ফুটবলের (Indian Football) উন্নতির ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ এবং ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগের গুরুত্ব অপরিসীম। চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্যে প্রত্যেক মরসুমে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে দল গঠনের কাজ করে থাকে প্রত্যেকটি ক্লাব। গত কয়েক বছরে যা প্রতিফলিত হয়েছে ব্যাপকভাবে। দেশীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি বিদেশি ফুটবলার দলে টানার ক্ষেত্রেও একের পর এক চমক দিয়েছে পুরুষের পাশাপাশি মহিলা ফুটবল দলগুলি। যারফলে সময় যত এগিয়েছে একের পর এক দাপুটে ফুটবলারদের পায়ের জাদুর সাক্ষী থেকেছে দেশবাসী। এবারও তাঁর অন্যথা হয়নি।
বলাবাহুল্য, চলছে ফুটবল মরসুমের শুরু থেকেই দারুন ছন্দে ধরা দিয়েছে হুয়ান পেদ্রো বেনালির নর্থইস্ট ইউনাইটেড। কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে পরাজিত করে ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপ জয়ের পর সেই ধারা বজায় রেখেই দেশের প্রথম ডিভিশন লিগ তথা আইএসএল শুরু করেছিল পাহাড়ের এই ফুটবল ক্লাব। প্রথম ম্যাচেই তাঁরা পরাজিত করেছিল ময়দানের তৃতীয় প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। তারপর সময় যত এগিয়েছে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে জন আব্রাহামের এই ফুটবল ক্লাব। একের পর এক ম্যাচে সহজেই এসেছে জয়।
সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মরোক্কান তারকা আলাদিন আজারাই। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৪টি ম্যাচ খেলে করে ফেলেছেন ২৩ টি গোল। এক কথায় যা ইতিহাস। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডে হয়তো শীর্ষস্থান অর্জন করে ফেলেছেন মরক্কোর এই দাপুটে ফুটবলার। যার ধারে কাছে নেই তেমন কোনও তারকা। সামনে আইএসএলের চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই। এবার সেখানেও নিজের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য থাকবে আলাদিনের। তবে শুধু আইএসএল নয়। সময়ের সাথে সাথেই যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইন্ডিয়ান ওমেনস লিগ। সেখানেই এবার জাত চেনাচ্ছেন ফাজিলা ইকুয়াপুত। বর্তমানে দক্ষিণের ফুটবল ক্লাব গোকুলাম কেরালা এফসির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এই মহিলা ফুটবলার।
ইতিমধ্যেই সেই দলের হয়ে খেলে ফেলেছেন ৮ টি ম্যাচ। তাঁর মধ্যেই ১৬ টি গোল করে ফেলেছেন উগান্ডার এই মহিলা ফুটবলার। স্বাভাবিকভাবেই যা নজর কেড়েছে সকলের। তারপরেই রয়েছে বালা দেবী। শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাবের হয়ে করেছেন মাত্র ছয়টি গোল। এক কথায় যা বিরাট পার্থক্য। শেষ পর্যন্ত আদৌ কতটা সফল থাকেন এই দুই বিদেশি ফুটবলার এখন সেটাই দেখার বিষয়।