আইজল, ১৬ মার্চ ২০২৫: কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ মিজোরামের শিশু গায়িকা এসথার লালদুহমি হ্নামতে-র প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। এই সাত বছরের গানের প্রতিভা, যিনি এসথার হ্নামতে নামে পরিচিত, তাঁর মধুর কণ্ঠে ‘বন্দে মাতরম’ গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। এই অনুষ্ঠানে শাহ তাঁকে একটি গিটার উপহার দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।
শনিবার আইজল-এ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অমিত শাহ উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানটি আসাম রাইফেলস-এর সদর দফতর আইজল থেকে রাজধানীর পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত জোখাওসাং-এ একটি নির্দিষ্ট ক্যাম্পে স্থানান্তরের উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল। এই সময়ে ছোট্ট এসথার ‘বন্দে মাতরম’-এর গান শুনে উপস্থিত সকলেই মুগ্ধ হয়ে যান। এই গানটি সুরকার এ আর রহমানের সৃষ্টি, এবং এসথার কোমল কণ্ঠে এটি যেন নতুন প্রাণ পেয়েছে।
অনুষ্ঠানের পর অমিত শাহ সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, “ভারতের প্রতি ভালোবাসা আমাদের সকলকে একত্রিত করে। আইজল-এ মিজোরামের বিস্ময়কর শিশু এসথার লালদুহমি হ্নামতে-র কণ্ঠে ‘বন্দে মাতরম’ শুনে আমি গভীরভাবে মুগ্ধ হয়েছি। সাত বছরের এই শিশুর গানে ভারত মাতার প্রতি ভালোবাসা উপচে পড়েছে, তাঁর গান শোনা এক মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা। তাঁকে একটি গিটার উপহার দিয়েছি এবং তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আশীর্বাদ জানিয়েছি।”
এসথার হ্নামতে মিজোরামের একটি উঠতি নক্ষত্র। তাঁর গানের প্রতিভা ইতিমধ্যেই স্থানীয় এবং জাতীয় স্তরে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই কম বয়সে তিনি যে পরিপক্বতা ও ভাবপ্রবণতার সঙ্গে গান পরিবেশন করেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ‘বন্দে মাতরম’ গানটি ভারতের জাতীয়তাবাদের একটি শক্তিশালী প্রতীক, এবং এসথার কণ্ঠে তা শ্রোতাদের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন দর্শক জানান, “এসথার গান শুনে আমরা সকলেই মুগ্ধ। এত ছোট বয়সে এমন গান গাইতে পারা সত্যিই অবিশ্বাস্য। অমিত শাহ-র মতো ব্যক্তিত্ব যখন তাঁর প্রশংসা করেন এবং উপহার দেন, তখন এটা আমাদের সকলের জন্য গর্বের বিষয়।”
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীও এই ঘটনার প্রশংসা করে বলেছেন, “এসথার মতো প্রতিভা আমাদের রাজ্যের গর্ব। তাঁর গান শুধু মিজোরাম নয়, সমগ্র ভারতের জন্য একটি উপহার। কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রীর এই উদ্যোগ তাঁকে আরও উৎসাহিত করবে।”
এসথার পরিবারও এই সম্মানে আনন্দিত। তাঁর বাবা-মা জানিয়েছেন, “আমরা গর্বিত যে আমাদের মেয়ে এমন সম্মান পেয়েছে। গিটারটি তাঁর সংগীতের পথে আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বড় প্রেরণা হবে।”
এই ঘটনা শুধু এসথার জন্যই নয়, মিজোরামের সংগীত জগতের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এত কম বয়সে জাতীয় মঞ্চে স্বীকৃতি পাওয়া তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। সংগীতপ্রেমীরা এখন অপেক্ষায় আছেন এই ছোট্ট শিল্পীর আরও নতুন সৃষ্টির জন্য। অমিত শাহ-র এই উদ্যোগ এবং এসথার প্রতিভা একত্রে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐক্য ও প্রতিভার প্রতি শ্রদ্ধার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ স্থাপন করেছে।