চিন বহু বছর ধরে সামুদ্রিক এলাকায় তার উপস্থিতি জোরদার করতে নিয়োজিত রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত ড্রাগন। কিন্তু এখন চিনের সামনে চ্যালেঞ্জ পেশ করেছে একটি মুসলিম দেশ। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা দিতে পারে এমন পুরনো এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার কিনতে পারে এই মুসলিম দেশ।
কারা এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার কিনতে পারে?
প্রকৃতপক্ষে, ইন্দোনেশিয়ার নৌসেনা দক্ষিণ চিন সাগরে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে একটি পুরনো ইতালীয় বিমানবাহী রণতরী কেনার কথা ভাবছে। এই বিমানবাহী রণতরীটির নাম ‘জিউসেপ গ্যারিবাল্ডি’। এটি 1980 এর দশকে নির্মিত হয়েছিল, যা ইতালি এখন বিক্রি করতে চায়। তবে বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি। দুই দেশের মধ্যেই আলোচনা চলছে। কিছু ফাইটার জেট (AV-8B Harrier II)ও এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Giuseppe Garibaldi এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
- এই জাহাজটি 180 মিটার লম্বা এবং 30 মিটার চওড়া।
- এর ডেক (এয়ারস্ট্রিপ) সামনের দিক থেকে 4 ডিগ্রি বেশি। এটি দিয়ে বিমানটি সহজে উড়তে পারে।
- Giuseppe Garibaldi বিমানবাহী রণতরী 18টি হেলিকপ্টার বা 16টি যুদ্ধবিমান বহন করতে সক্ষম।
- এই এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারে 4টি গ্যাস টারবাইন ইঞ্জিন রয়েছে, যা 81,000 হর্স পাওয়ার শক্তি দেয়।
- এই জাহাজটি 30 নট (প্রায় 55 কিমি/ঘন্টা) গতিতে চলতে পারে।
China and Indonesia: কীভাবে চিনের জন্য হুমকি হতে পারে?
চিনকে বর্তমানে দক্ষিণ চিন সাগরের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এই এলাকায় চিনা নৌবাহিনীর খুবই শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া যদি Giuseppe Garibaldi বিমানবাহী রণতরী কিনে নেয়, তাহলে এর শক্তি বৃদ্ধি পাবে। একভাবে চিনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ছাড়া চিন এখানে কোনো জঘন্য কাজ করলেও ইন্দোনেশিয়ার বিমানবাহী রণতরী তার ওপর নজর রাখতে পারে এবং তা বন্ধ করতে পারে।