India condemns temple attack: ক্যালিফোর্নিয়ায় হিন্দু মন্দিরে হামলা,নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি ভারতের

ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলসে অবস্থিত শ্রী স্বামিনারায়ণ মন্দির, যা দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার অন্যতম বৃহত্তম হিন্দু মন্দির, সম্প্রতি মন্দিরের ওপর নৃশংস হামলা এবং ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণাপূর্ণ বার্তা লেখার…

India condemns temple attack

short-samachar

ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলসে অবস্থিত শ্রী স্বামিনারায়ণ মন্দির, যা দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার অন্যতম বৃহত্তম হিন্দু মন্দির, সম্প্রতি মন্দিরের ওপর নৃশংস হামলা এবং ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণাপূর্ণ বার্তা লেখার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিন্দা সহকারে আসছে, এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

   

ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমরা ক্যালিফোর্নিয়ার চিনো হিলসে এক হিন্দু মন্দিরে হামলার রিপোর্ট পেয়েছি। আমরা এই ধরনের নিন্দনীয় ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আবেদন, যারা এই ধরনের ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং পূজাস্থলগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।”

বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনও এই হামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ব্যাএপস ইউএসএ তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করে বলেছে, “আমরা ঘৃণার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিচ্ছি এবং শান্তি ও সহানুভূতির প্রচারে বিশ্বাসী।”

অন্যদিকে, ব্যাএপস পাবলিক অ্যাফেয়ার্স এক পোস্টে জানায়, “এই নতুন মন্দির অবমাননার ঘটনায়, আমরা সমস্ত হিন্দু সম্প্রদায় একযোগে ঘৃণার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। চিনো হিলস এবং দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার জনগণের সাথে এক হয়ে, আমরা কখনোই ঘৃণাকে আমাদের সমাজে স্থান দিতে দেব না। আমাদের সাধারণ মানবতা এবং বিশ্বাস আমাদের শান্তি এবং সহানুভূতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

খালিস্তান রেফারেন্ডামের আগে হামলা, উদ্বেগ বৃদ্ধি

এই হামলা এমন সময় ঘটেছে যখন লস অ্যাঞ্জেলসে ‘খালিস্তান রেফারেন্ডাম’ ইভেন্টের প্রস্তুতি চলছিল, যা ধর্মীয় উত্তেজনা বাড়ানোর আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। উত্তর আমেরিকার হিন্দু কোয়ালিশন তাদের এক পোস্টে জানায়, “এই মন্দিরের অবমাননা লস অ্যাঞ্জেলসে খালিস্তান রেফারেন্ডাম-এর আগে ঘটেছে, যা ধর্মীয় উত্তেজনা বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে।”

উত্তর আমেরিকার হিন্দু কোয়ালিশন তাদের পোস্টে আরও জানায়, ২০২২ সাল থেকে বিভিন্ন মন্দিরে এমন হামলার সংখ্যা বাড়ছে এবং তারা এই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। তারা উল্লেখ করে, গত কয়েক বছরে ১০টি মন্দির ভাঙচুর বা ডাকাতির শিকার হয়েছে।

অতীতের হামলার স্মৃতি

সেপ্টেম্বর মাসে, ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে অবস্থিত বোচাসনবাসি অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ণ মন্দিরেও অবমাননা ঘটেছিল, যেখানে ‘হিন্দুরা ফিরে যাও’ ধরনের ঘৃণামূলক শব্দের গ্রাফিতি আঁকা হয়েছিল। প্রায় ১০ দিন আগে, নিউইয়র্কের মেলভিলেও এক ধরনের হামলা হয়েছিল, যেখানে ঘৃণামূলক বার্তা লেখা ছিল।

নিউইয়র্কে ভারতীয় কনস্যুলেট এই হামলাগুলোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে এই ধরনের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের বার্তা দিয়েছে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এবং সুরক্ষা

এই হামলা এবং অন্যান্য হামলার ফলে হিন্দু মন্দিরগুলোকে আরও কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। ভারতের সরকার এবং হিন্দু সংগঠনগুলি এসব হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং তাদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

এটি শুধু একটি মন্দিরের অবমাননা নয়, বরং এটি সামগ্রিকভাবে ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সুরক্ষা সম্পর্কিত এক বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।