২-৩ হাজার তৃণমূল ঢুকলে যাদবপুরে খেল খতম, সৌগতর রণহুঙ্কার

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়ের কড়া হুঁশিয়ারি। তিনি বলেছেন, “তৃণমূলের ২-৩ হাজার লোক ক্যাম্পাসে ঢুকলে বামেরা কোথায় বাঁচবে? প্রেসিডেন্সির মতো…

sougata-roy-attacks-cpm-jadavpur-university-incidents

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায়ের কড়া হুঁশিয়ারি। তিনি বলেছেন, “তৃণমূলের ২-৩ হাজার লোক ক্যাম্পাসে ঢুকলে বামেরা কোথায় বাঁচবে? প্রেসিডেন্সির মতো এখানেও পুলিশ নিয়ে ভাবতে হবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিলে হাজার খানেক পুলিশ ঢুকে যাবে।” সৌগত রায়ের এই বক্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে শোরগোল পড়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে যাদবপুরে ছাত্র আন্দোলন ও রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা তুঙ্গে। এই প্রেক্ষাপটে সৌগত বলেন, “একটা ছেলে আহত হয়েছে, ওটা ওদের সৌভাগ্য। না হলে কেউ সমবেদনাও দেখাত না। যাদবপুর বাংলার বাইরে নয়, কেউ গেলেই গাড়ি ভাঙবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “যাদবপুরে একটা অসহ্য বাঁদরামির খেলা চলছে, আর সহ্য করা যায় না। এরপর থেকে ওরা আর আসবে না।” বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে তিনি সরাসরি হুঙ্কার দিয়েছেন।

kolkata24x7-sports-News

   

সৌগত রায়ের এই মন্তব্য এমন সময়ে এল যখন যাদবপুরে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন জোরদার করেছে। তৃণমূলের দাবি, এই আন্দোলনের আড়ালে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। সাংসদের বক্তব্যে স্পষ্ট, তিনি প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের পক্ষে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে প্রয়োজনে পুলিশি বাহিনী ক্যাম্পাসে ঢুকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে।

এদিকে, বাম ছাত্র নেতারা সৌগত রায়ের এই হুঁশিয়ারিকে ‘হুমকি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, তৃণমূল ক্যাম্পাসে প্রভাব বিস্তার করতে চায়, আর এই মন্তব্য তারই প্রমাণ। এক বাম নেতা বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। তৃণমূলের হুমকিতে আমরা পিছু হটব না।”

যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তর্ক-বিতর্ক তীব্র হয়েছে। সৌগত রায়ের ‘বাঁদরামি’ মন্তব্য ও পুলিশি হস্তক্ষেপের ইঙ্গিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, এই কঠোর বার্তা পরিস্থিতি শান্ত করতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে, বিরোধীরা বলছে, এটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমনের চেষ্টা।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযানের প্রসঙ্গ টেনে সৌগত রায় ইঙ্গিত দিয়েছেন, যাদবপুরেও একই পথে হাঁটা হতে পারে। তবে, এই মন্তব্যে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেদিকে নজর রয়েছে সবার।