রাষ্ট্রপতি মুর্মুর উপস্থিতিতে ২৫১ দম্পতির বিবাহ, নারীদের ক্ষমতায়নের আহ্বান

মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুর জেলার বাগেশ্বর ধামে এক বৃহৎ বিবাহ অনুষ্ঠান উপলক্ষে বুধবার বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। অনুষ্ঠানে ২৫১ দম্পতি একসঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এ সময়…

president-murmu-251-couples-wedding-empowerment

মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুর জেলার বাগেশ্বর ধামে এক বৃহৎ বিবাহ অনুষ্ঠান উপলক্ষে বুধবার বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। অনুষ্ঠানে ২৫১ দম্পতি একসঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এ সময় রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “ভারতের সাধু-সন্তরা সমাজে নারীদের জন্য সম্মানজনক স্থান নিশ্চিত করেছেন এবং আজ আমাদের দেশ ‘নারী উন্নয়ন’ থেকে ‘নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন’-এর দিকে এগোচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আধুনিক আধ্যাত্মিক নেতা সমাজে আত্মনির্ভর, সুষম এবং পরিবেশবান্ধব ভারত গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।” রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “সাধু সমাজ সমাজের বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে এবং নারীদের সম্মানজনক স্থান প্রতিষ্ঠা করেছে।”

   

মুর্মু দেশের উন্নয়নের জন্য সকলকে নারীদের শিক্ষার, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আজকের সমাজের জন্য আমাদের ছোট ছোট প্রচেষ্টা নারীদের শক্তিশালী করবে।”

তিনি ভারতীয় আধ্যাত্মিক নেতাদের অবদান সম্পর্কে বলেন, “আমাদের ঐতিহ্যে, সাধু-সন্তরা শতাব্দী ধরে জনগণকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। তাঁরা সমাজে বিদ্যমান সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন, পাশাপাশি জাতি, লিঙ্গ ইত্যাদি ভিত্তিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।”

গুরু নানক, সন্ত রবিদাস, সন্ত কবির দাস, মীরা বাঈ, সন্ত তুকারাম-সহ আরও অনেক আধ্যাত্মিক নেতার উদাহরণ তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “তাঁরা উপদেশের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে আলোকিত করেছেন।”

বাগেশ্বর ধামের বিশিষ্ট সাধু ধিরেন্দ্র শাস্ত্রী এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মুর্মু বাগেশ্বর ধামের আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এখানে মহিলাদের সেলাই মেশিন এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে, যা তাদের আত্মনির্ভর করার পথে সহায়ক হবে।”

মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব জানিয়ে দেন, “এই বিবাহ অনুষ্ঠানে বিবাহিত প্রতিটি দম্পতিকে রাজ্য সরকারের স্কিমের আওতায় ৫১,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।”

শেষে রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “আমরা ২০৪৭ সালে আমাদের স্বাধীনতার শতবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছি এবং সেই সময় ভারতকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।” তিনি এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজে নারীদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের উন্নতির পথে আরও সুগম পথ খুলে দেওয়ার আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজে নারীদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের উন্নতির পথ আরও সুগম হতে পারে বলে আশাবাদী আয়োজকরা। এই উদ্যোগ সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা নারী শক্তিকরণের পাশাপাশি ভারতের সার্বিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।