বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা (Preity Zinta) সম্প্রতি কেরালা কংগ্রেসের (Kerala Congress) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। কেরালা কংগ্রেস দাবি করেছে প্রীতি জিনতা তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস বিজেপির (BJP) হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে প্রীতির ১৮ কোটি টাকার ঋণ মকুব করা হয়েছে। তবে প্রীতি জিনতা এই অভিযোগের বিষয়ে বিরক্ত হয়ে সমাজ মাধ্যমে সরব হয়েছেন।
কেরালা কংগ্রেস (Kerala Congress) ইউনিট তাদের একটি টুইটে অভিযোগ করেছে যে, ‘প্রীতি জিনটা তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির কাছে হস্তান্তর করেছিলেন এবং বিজেপি তার ১৮ কোটি টাকা ঋণ মকুব করেছে।’ কংগ্রেসের এই অভিযোগের পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে তীর্ব প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রীতি (Preity Zinta) বলেন, ‘আমি নিজে আমার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চালাই, কেউ আমার অ্যাকাউন্টে হস্তক্ষেপ করেনি। এটা মিথ্যা এবং দুর্ভাগ্যজনক যে, একটা রাজনৈতিক দল এবং তার প্রতিনিধিরা মিথ্যা খবর প্রচার করছে।’
No I operate my social media accounts my self and shame on you for promoting FAKE NEWS ! No one wrote off anything or any loan for me. I’m shocked that a political party or their representative is promoting fake news & indulging in vile gossip & click baits using my name &… https://t.co/cdnEvqnkYx
— Preity G Zinta (@realpreityzinta) February 25, 2025
প্রীতি জিনতা (Preity Zinta) আরো বলেন, ‘আমি হতবাক যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আমার নাম এবং ছবির অপব্যবহার করা হচ্ছে। সত্যটা হলো, আমার ১৮ কোটি টাকার ঋণ ১০ বছর আগে পুরোপুরি পরিশোধ করা হয়েছে। আমি জানি না, কেন এমন মিথ্যা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমি আশা করি, এই স্পষ্টীকরণ ভবিষ্যতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করবে না।’
এছাড়া, প্রীতি জিনতার (Preity Zinta) ঋণ মকুবের বিষয়ে আরও কিছু বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাংকের কিছু শাখা কর্মকর্তারা অজান্তে বেশ কয়েকজনকে ঋণ দিয়েছিলেন, যার মধ্যে প্রীতি জিনতার কথিত ১৮ কোটি টাকার ঋণও ছিল। এই ঋণগুলির কিছু মকুব করা হয়েছিল। খবর অনুযায়ী, ব্যাংকটির কার্যক্রমে দুর্নীতি ও ত্রুটির কারণে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) ব্যাংকটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, কেরালা কংগ্রেস (Kerala Congress) কেন এমন একটি অভিযোগ তুললো? প্রীতি জিনতার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত এই ধরনের অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়েছে কিনা, তা সময়ের সঙ্গে আরও পরিষ্কার হবে। তবে প্রীতি জিনতা তার নাম এবং ছবির অপব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।