মোহনবাগানের সাফল্যের প্রসঙ্গে কী বললেন দেবাশিস দত্ত? জানুন

শিল্ড থাকল কলকাতাতেই। গত সিজনের মত এবারও ইন্ডিয়ান সুপার লিগের লিগ শিল্ড জয় করল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। মুম্বাই সিটি এফসির সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি…

Debashis Dutta Praises Mohun Bagan's Historic ISL Shield Victory

শিল্ড থাকল কলকাতাতেই। গত সিজনের মত এবারও ইন্ডিয়ান সুপার লিগের লিগ শিল্ড জয় করল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। মুম্বাই সিটি এফসির সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও সময় এগোনোর সাথে সাথেই অনবদ্য ছন্দে ধরা দেয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। যত সময় এগিয়েছে ততই ভয়ানক হয়েছে শুভাশিস বসু থেকে শুরু করে জেমি ম্যাকলারেনরা। যারফলে বাকি দলগুলির ধরা ছোঁয়ার বাইরে যেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি, ময়দানের এই প্রধানের। বিশেষ করে গত অ্যাওয়ে ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে সহজ জয় আসার পর শিল্ড সুনিশ্চিত করার থেকে মাত্র এক পা দূরে ছিল মোহনবাগান।

   

যারফলে পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখলে শেষ তিনটি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয় আসলেই নিশ্চিত হয়ে যেত লিগ শিল্ড। সেটাই হল এবার। রবিবার সন্ধ্যায় সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সার্জিও লোবেরার শক্তিশালী ওডিশা এফসি‌র বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল জোসে মোলিনার মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। নির্ধারিত সময়ের শেষে ‌একটি গোলের ব্যবধানে জগন্নাথের রাজ্যের এই ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষে জয় সুনিশ্চিত করে মোহনবাগান। তবে ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকলে ও এদিন গোলের মুখ খোলা খুব একটা সহজ ছিল না ম্যাকলারেনদের কাছে।

প্রতিপক্ষের আক্রমণাত্মক মনোভাব কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দিয়েছিল সকলকে। তাছাড়া ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষের দিকে অজি বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন গোলের সুযোগ পেলেও অনায়াসেই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন অমরিন্দর সিং। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষে অতিরিক্ত সময়ের শুরুতে মনবীর সিংয়ের পাস থেকে বল নিয়ে সোজা প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে হানা দেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। সেখান থেকেই চলে আসে গোল। তারপর উভয় দলের তরফে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হলেও বদলায়নি খেলার ফলাফল। দলের এমন সাফল্যে যথেষ্ট খুশি মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত।

দলেরই সাফল্যের প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” এই সাফল্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার। এছাড়াও দলের সকল ফুটবলারদের। পাশাপাশি ক্লাব এবং কোম্পানির সমন্বয়। আপনারা কখনও দেখবেন না কেউ কখনো বিভেদের কথা বলেছে। কিংবা ক্লাবের সঙ্গে কোম্পানির বিভেদ আছে। অন্য ক্লাবে যেগুলো নিয়মিত শোনা যায়। আমাদের ক্লাবে কোনও বিভেদ ছিল না। আমরা সবাই একসাথে কাজ করেছি। আমাদের কাজকর্ম সমস্ত কিছু একসাথে। এটাই সাফল্যের রসায়ন। কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডকে কীভাবে একসাথে নিয়ে চলতে হয় সেটা আমাদের কমিটি ভালো মতোই জানে। এক্সিকিউটিভ কমিটির সব থেকে বড় সাফল্য হল সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে বুঝিয়ে এটিকে নাম সরিয়ে সুপার জায়ান্ট করা।”

আর ও বলেন, ” আগেরবার যখন হাবাসকে সরানো হয়েছিল তখন সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছিল। কিন্তু হাবাসের পরিবর্তে জোসে মলিনার হাতে দলের দায়িত্ব দেওয়া যে সঠিক হয়েছে তা আজ প্রমাণিত হল। আশা করি এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। তাছাড়া দিমিকে নিয়ে অনেক কথা উঠেছিল। আজ সে নিজেকে প্রমাণ করেছে। এতে ওর আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে‌। মোহনবাগানে ট্রফি আসবে। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ট্রফি নিয়ে আসবেন।”