নয়া ইতিহাস সৃষ্টি করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। গতবারের মতো এবারও ইন্ডিয়ান সুপার লিগের লিগ শিল্ড জয় করল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। রবিবার সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শক্তিশালী ওডিশা এফসিকে ১-০ গোলে পরাজিত করল মোহনবাগান।
দলের হয়ে একটিমাত্র গোল করেন অজি তারকা দিমিত্রি পেত্রাতোস। তাঁর গোলেই এবার মরসুমের প্রথম ট্রফি নিশ্চিত করল মেরিনার্সরা। বলাবাহুল্য, টুর্নামেন্টের শুরুটা খুব একটা আহামরি না হলেও সময় এগোনোর সাথে সাথেই দুরন্ত ছন্দে ধরা দেয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্টের অন্যান্য দলগুলিকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে থাকে শুভাশিস বসুরা।
তাই হাতে কয়েকটি ম্যাচ বাকি থাকতেই দ্বিতীয়বার এই খেতাব জয়ের সুবর্ণ সুযোগ চলে আসে তাঁদের কাছে। বিশেষ করে গত কেরালা ম্যাচ জয়ের পর বাকি তিনটি ম্যাচের মধ্যে একটিতে জয় আসলেই নিশ্চিত ছিল এই খেতাব। সেটাই হল এবার। ঘরের মাঠে ওডিশা বধ করে লিগের দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই শিল্ড চূড়ান্ত করে ফেলল জোসে মোলিনার ছেলেরা।
যারফলে আবার ও এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তবে এদিন ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকলেও গোলের মুখ খোলা খুব একটা সহজ ছিল না ম্যাকলারেনদের কাছে। প্রথমদিকে হুগো বুমোসদের আক্রমণে কালঘাম ছুঁটে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল আলবার্তো রদ্রিগেজদের। তবে বিশাল কাইথের দক্ষতায় সহজেই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল পরিস্থিতি। তারপর সুযোগ বুঝেই পাল্টা আক্রমণ। মনবীর সিং থেকে শুরু করে দীপক টাংড়ি, প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে হানা দিয়েছিলেন বারংবার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
এমনকি প্রথমার্ধের শেষের দিকে গোল করে এগিয়ে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন স্কটিশ ফরোয়ার্ড গ্ৰেগ স্টুয়ার্ট। কিন্তু অমরিন্দর সিংয়ের দক্ষ হাতে আটকে যেতে হয় বাগান শিবিরকে। তাই গোলশূন্য ফলাফলে শেষ হয় ম্যাচের প্রথমার্ধ। তবে দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই গোল তুলে নিতে তৎপর ছিলেন জেসন কামিন্সরা।
বিশেষ করে ষষ্ঠ কোয়ার্টারের শেষের দিকে ওডিশা ডিফেন্ডার মুর্তাজা ফলের লাল কার্ড দেখার পর থেকেই কিছুটা চাপে পড়ে যায় ওডিশা এফসি। সেই সুযোগে আর ও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে সবুজ-মেরুন। তারপর অতিরিক্ত ৯৩ মিনিটের মাথায় মনবীর সিংয়ের পাস থেকে ওডিশার বক্সে বলে পেয়ে যান দিমিত্রি পেত্রাতোস। তাঁর শটেই পোস্টের কোনা থেকে বল চলে যায় গোলের মধ্যে। তারপর আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব ছিলনা ওডিশার পক্ষে।