রাজ্যজুড়ে জনমত গঠনের কাজ শুরু করলো বঙ্গ বিজেপি (BJP)। ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে জনমত গঠনের কাজ শুরু করলো বিজেপি। সামনেই বিধানসভা ভোট। বিজেপি নেতারা এই বিষয়টিকে সামনে রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। সুনীল বনশাল ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সম্প্রতি এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেসব পঞ্চায়েত এবং ওয়ার্ডে বিজেপির জনপ্রতিনিধি রয়েছে, সেখানেই ‘এক দেশ, এক ভোট’ প্রচার শুরু করতে হবে। এরই মধ্যে বিজেপি মাঠে নেমে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
বিগত কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন প্রসাদ হাওড়ায় একটি সম্মেলন করেছিলেন। সেখানে তিনি ‘এক দেশ, এক ভোট’-এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। এই প্রচারের জন্য জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হলে জন আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এই কথাটিও বলেছেন নেতারা। বিজেপির (BJP) পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিভিন্ন সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে জনমত গঠন করতে হবে। এজন্য বিভিন্ন রাজ্যেও সম্মেলন এবং আলোচনার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি, সুনীল বনশালের ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে একটি সম্মেলন করার কথা। তবে, এই সম্মেলন সরাসরি রাজনৈতিক ব্যানারের না হয়ে, বিজেপি প্রভাবিত বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে করা হচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের মধ্যে ‘এক দেশ, এক ভোট’-এর গুরুত্ব বোঝানো। সুনীল বনশালের নেতৃত্বে এই কাজ এখন শুরু হয়েছে। শীঘ্রই অন্যান্য এলাকাতেও জনমত গঠনের কাজ ত্বরান্বিত হবে।
গত সোমবার, কেন্দ্রীয় দফতর ৬ দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছিল। এতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানসহ অনেক শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। বিজেপির নেতারা চাইছেন, ২০২৬ সালে নির্বাচনের প্রস্তুতি আগেই শুরু করতে, যাতে কোনো খামতি না থাকে। তারা চাইছেন, শিলিগুড়িতে আসন্ন বৈঠকে বিজেপির নেতাদের মধ্যে আরও পরিকল্পনা ও আলোচনার মাধ্যমে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুতি শক্ত করতে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিকল্পনা দলের আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ। বিজেপি ২০২৬ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে আগে থেকেই জনমত গঠন করতে চাইছে। শিলিগুড়িতে এক নতুন বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে দলের শীর্ষ নেতারা যোগ দেবেন। এভাবে একের পর এক বৈঠক আর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বিজেপির (BJP) এই প্রস্তুতির মাধ্যমে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানানো হচ্ছে।
তবে তৃণমূল অবশ্য পিছিয়ে নেই। তাদের দলের মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে বিজেপির হার অবধারিত।’ তিনি দাবি করেছেন, গত কিছু উপনির্বাচনে বিজেপি সেখানে হার মেনেছে। তৃণমূলের মতে, বিজেপি বিশেষ কিছু করতে পারবে না এবং তারা এবারও সেখানে ভালো ফলাফল করতে পারবে না। কিন্তু বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের মত, ২০২৬ সালে বাংলায় সরকার বদল হতে চলেছে। তারা এজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।