প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করে বহু ভক্ত রাম লাল্লার দর্শনের জন্য আযোধ্যায় চলে আসছেন। যার ফলে মন্দির চত্বরের মধ্যে লাখ লাখ ভক্তের সমাগম ঘটে। শুক্রবার সকাল ৫টা থেকে হাজার হাজার ভক্ত মন্দিরে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, এবং এই ভিড় রাত ১০টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ভক্তদের ভিড় বাড়তে থাকায় স্থানীয় প্রশাসন ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যাতে নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়।
এ সপ্তাহের শুরুতে আযোধ্যার এসএসপি রাজকরণ নায়ার জানান, “বহু ভক্ত হটাৎ আযোধ্যায় আসতে শুরু করেছেন … ভিড় নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা এবং যানবাহন ব্যবস্থাপনার জন্য ২৪ ঘণ্টা ডিউটি লাগানো হয়েছে। সবার একটাই লক্ষ্য, যাতে সকল ভক্ত নিরাপদে এবং সুগম অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যেতে পারেন…”
“পার্কিং ব্যবস্থাপনা রুট অনুযায়ী করা হয়েছে… যানবাহন ব্যবস্থাপনার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে… আমাদের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টারগুলো মেলা এলাকার ছয়টি স্থানে রয়েছে, বলে জানান।”
ভক্তদের ভিড় বাড়তে থাকায় পুলিশ শহরকে ছয়টি জোন এবং ১১টি সেক্টরে ভাগ করে, যাতে চলমান মহাকুম্ভের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। আযোধ্যার এসপি মধুবন কুমার সিং বলেন, “প্রতিদিনই ভক্তদের সংখ্যা বাড়ছে। মহাকুম্ভ মেলার শুরু থেকেই এখানে স্নান করতে আসা মানুষরা রাম ও হনুমানজির দর্শন করতে আসছেন। সকাল থেকে লাখ লাখ ভক্ত এখানে দর্শন করতে এবং সারযু নদীতে স্নান করতে আসছেন।”
এর আগে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আযোধ্যার অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন, প্রয়াগরাজ, কাশী এবং আযোধ্যাকে ভারতের বাড়তি সম্ভাবনার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান, যার ফলে দেশের বিশ্বাস ও সম্মান বিশ্বব্যাপী পুনরুদ্ধার হয়েছে।
তিনি বলেন, আযোধ্যায় ভক্তদের সংখ্যা ২০১৬-১৭ সালে ২.৩৫ লাখ থেকে ২০২৪ সালে ১৪-১৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে, যা ধর্মীয় বিশ্বাস ও এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রতিফলন।