কার্বন নির্গমন এবং তার পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের প্রেক্ষিতে, সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের পরিবেশগত সমস্যা সমাধানের জন্য আদালত ছয়টি মন্ত্রককে একটি মামলায় জড়িত করেছে। যার মাধ্যমে ভারতীয় কার্বন নির্গমন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শুক্রবার, বিচারপতি পি এস নার্সিমহা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। মামলাটি ভারতের কার্বন নির্গমন নিয়ন্ত্রণ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালাগুলির ঘাটতি নিয়ে আলোচনা করছে। এর আগে, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে, সুপ্রিম কোর্ট আমিকাস কিউরি সুধীর মিশ্র এবং জে চিমাকে নিয়োগ করে, যারা এই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করছেন।
মামলাটি একটি নাগরিক আপিল থেকে উঠে এসেছে, যা জাতীয় সবুজ ট্রাইব্যুনালের প্রধান বেঞ্চের ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের চূড়ান্ত আদেশের বিরুদ্ধে। মামলার মূল আবেদনকারী একটি ৯ বছরের মেয়ে, যিনি উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে পরিবেশের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, তিনি পরিবেশগত অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে ত্রুটি ও অসঙ্গতির বিষয়টি তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে, আদালত ছয়টি মন্ত্রককে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। এই মন্ত্রকগুলো হলো: শক্তি মন্ত্রণালয়, পরিবহন রোড ও হাইওয়েজ মন্ত্রণালয়, আবাসন ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, নবায়নযোগ্য শক্তি মন্ত্রণালয়, টেক্সটাইল মন্ত্রণালয়, খনিজ মন্ত্রণালয় এবং তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রণালয়। সুধীর মিশ্রের পরামর্শে এসব মন্ত্রকগুলির অন্তর্ভুক্তি জরুরি, কারণ এর মাধ্যমে সমস্যার বিস্তারিত বিশ্লেষণ এবং কার্যকর সমাধান বের করা সম্ভব হবে।
সুপ্রিম কোর্ট পক্ষগুলিকে চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের উত্তর জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এরপর মামলাটি পুনরায় পর্যালোচনার জন্য তালিকাভুক্ত হবে। এই পদক্ষেপটি ভারতের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জগুলির প্রতি একটি সমন্বিত এবং ব্যাপক পন্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।