গত মাসে শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসিকে পরাজিত করে সকলকে চমকে দিয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব (Mohammedan SC)। তারপর চেন্নাইয়িন এফসির বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়লে ও সেটা বজায় থাকেনি বেশিদিন। শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির কাছে ফের পরাজিত হতে হয়েছিল সাদা-কালো ব্রিগেডকে। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত জয়ের দেখা মেলেনি ময়দানের এই প্রধানের। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সকল সমর্থকদের। তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে তিন পয়েন্ট পাওয়ার লক্ষ্য থাকলেও কাজে আসলো না সেই পরিকল্পনা। এবার পরাজিত হতে হল খালিদ জামিলের শক্তিশালী জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) কাছে।
সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল দেশের বানিজ্য নগরীর এই ফুটবল ক্লাব। এদিন দলের হয়ে গোল পেলেন যথাক্রমে ঋত্বিক দাস এবং নিখিল বার্লা। এই জয়ের সুবাদে ২১ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে থাকল জামশেদপুর ফুটবল দল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এফসি গোয়ার সঙ্গে মাত্র দুই পয়েন্টের পার্থক্য থাকল জামিলের ছেলেদের। তাঁদের কাছে আইএসএলের লিগ শিল্ড জয়ের কোনও সুযোগ না থাকলেও ট্রফি সুনিশ্চিত করাই এখন অন্যতম লক্ষ্য এই ফুটবল ক্লাবের। বলাবাহুল্য, এদিন মহামেডানের হোম ম্যাচ থাকলেও প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছিল জাভিয়ের সিভেরিও টোরো থেকে শুরু করে কোনর শিল্ডদের।
স্বাভাবিকভাবেই গোল তুলে নিতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি তাঁদের পক্ষে। প্রথমার্ধের প্রথম কোয়ার্টারের মাঝামাঝি সময় ইমরান খানের ক্রস থেকে গোলের সুযোগ পান জাভি হার্নান্দেজ। তিনি খুব একটা সক্রিয়তা দেখাতে না পারলেও বল গোলে ঠেলে দিতে কোনও ভুল করেননি ঋত্বিক। যারফলে অনায়াসেই ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় জামশেদপুর এফসি। তবে সেখানেই শেষ নয় পরবর্তীতে ফের গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলার এই ফুটবলার। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। তারপর সুযোগ বুঝেই পাল্টা আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করে ব্ল্যাক প্যান্থার্সরা। ফ্রি-কিক থেকে গোল মুখি শট নিলেও তাতে খুব একটা সফল হননি অ্যালেক্সিস গোমেজ।
তারপর দ্বিতীয়ার্ধে ও বজায় ছিল জামশেদপুরের সক্রিয়তা। এবার গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন জাভি হার্নান্দেজ। কিছু সময়ের মধ্যেই প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে হানা দিয়ে গোল শোধ করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ফ্রাঙ্কা। কিন্তু সফল হননি এই সাদা-কালো ফুটবলার। কিন্তু ৮৩ মিনিটের মাথায় উইং থেকে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন নিখিল। সেখান থেকেই চলে আসে দ্বিতীয় গোল। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই আসে জয়।