কেরালার (Kerala) মালাপ্পুরাম জেলার আরিকোডে সোমবার ফুটবল ম্যাচের আগে আতশবাজি (Firecracker explosion) ফোটানোর সময় বিস্ফোরণে ৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তি আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে কেউ গুরুতর আহত হয়নি, তবে অনেকেরই শারীরিকভাবে কিছু না কিছু আঘাত লেগেছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি তখন ঘটে যখন একটি ফুটবল ম্যাচের আগের মুহূর্তে আতশবাজি ফোটানো হচ্ছিল। বিস্ফোরণের পর আতশবাজির টুকরো ফুটবল মাঠের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে খেলা দেখতে আসা দর্শকরা বসে ছিলেন।
আরিকোড থানার পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং অনেকেই আহত হন। আহতদের মধ্যে অধিকাংশই স্থানীয় বাসিন্দা এবং ফুটবল খেলা দেখতে আসা দর্শকরা। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল আহতদের উদ্ধার করে কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে যে, বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মাঠে আগেভাগে আতশবাজি ফোটানোর কারণে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় মাঠে শিশু, যুবক, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ উপস্থিত ছিলেন, যার ফলে আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাদের মতে, এই ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের আরো সতর্ক থাকা উচিত। স্থানীয় ফুটবল ক্লাব এবং সংগঠকরা অবশ্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন এবং তারা এই ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
এটি শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়, বরং খেলার মাঠে আতশবাজির ব্যবহার সম্পর্কিত একটি বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। খেলার মাঠে এ ধরনের বিপজ্জনক জিনিসপত্র ব্যবহার করতে গিয়ে কতটা সতর্ক থাকা উচিত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফুটবল খেলার মতো বিশাল দর্শকসমাগমের মধ্যে আতশবাজি ব্যবহার অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ এবং এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর আগে স্থানীয় প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া উচিত এবং বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত, যাতে আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা না ঘটে। তারা আরো জানিয়েছে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পুরো বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করা হবে এবং ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই দুর্ঘটনার ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনেকেই ফুটবল মাঠে আতশবাজির ব্যবহার বন্ধ করার দাবি তুলেছেন। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও, এই ঘটনাটি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব এবং খেলার মাঠে বিপজ্জনক আচরণের একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।