আইএসএলের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters)। ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ পরাজিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করলে ও সেটা বজায় থাকেনি বেশিদিন। স্বাভাবিকভাবেই যা প্রভাব ফেলেছিল পয়েন্ট টেবিলে। দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছিল সমর্থকরা। এমন পরিস্থিতিতে ছাঁটাই করা হয় মিকেল স্ট্যাহরে সহ তাঁর সকল সাপোর্টিং স্টাফেদের। তারপর থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দলের দায়িত্ব পালন করে আসছেন থেক্কাথারা পুরুষোথামণ। বলতে গেলে তাঁর তত্ত্বাবধানেই সুদিন ফিরেছে দক্ষিণের এই ফুটবল দলের।
একটা সময় সুপার সিক্সের লড়াইয়ে কার্যত অনিশ্চিত থাকলেও সেখান থেকেই সকলকে চমকে দিয়েছে কেরালা ব্লাস্টার্স। বিশেষ করে দক্ষিণের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব চেন্নাইয়িন এফসিকে পরাজিত করার পর থেকেই প্রথম ছয়ে উঠে আসার অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছিল কোয়ামি পেপরাদের ক্লাব। কিন্তু তাল কাঁটে গত ম্যাচে। প্রথম লেগের মতো এবার আইএসএলের দ্বিতীয় লেগে ও শক্তিশালী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে পরাজিত হতে হয় আদ্রিয়ান লুনাদের। স্বাভাবিকভাবেই সুপার সিক্সের লড়াইয়ে ফের ধাক্কা খায় কেরালা।
সেখান থেকেই এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য জেসুস জেমিনেজদের। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ২২শে ফেব্রুয়ারি ফতোরদা স্টেডিয়ামে আইএসএলের পরবর্তী অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নামবে দক্ষিণের এই শক্তিশালী ফুটবল দল। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হবে মানোলো মার্কুয়েজের শক্তিশালী এফসি গোয়ার সঙ্গে। এই ম্যাচে পরাজিত হলে চলতি সিজনের আইএসএলের নক আউট পর্বে যাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে সকলের কাছে। তাই সবদিক মাথায় রেখেই দলকে অনুশীলন করাচ্ছেন থেক্কাথারা পুরুষোথামণ। তবে মরোক্কান তারকা নোয়া সাদাউয়ের চোট নিঃসন্দেহে প্রভাব ফেলেছে দলের মধ্যে।
যার প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে গত মোহনবাগান ম্যাচে। তবে কি গোয়া ম্যাচে ও খেলতে পারবেন না সাদাউ? এই নিয়ে একটি জনপ্রিয় মাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে কেরালা ব্লাস্টার্সের বর্তমান কোচ বলেন, ” কিছুদিন ধরেই নোয়া সমস্যায় ভুগছেন। তিনি হাঁটুতে সামান্য চোট পেয়েছেন। আশা করছি তিনি হয়তো আগামী সপ্তাহে অথবা তাঁর পরে ফিরে আসবেন। সেক্ষেত্রে নোয়াকে ছেড়েই হয়তো প্রথম একাদশ সাজাতে হবে কেরালা শিবিরকে।