সংবিধান বিরোধী সরকার, বিঁধলেন বেণুগোপাল

গতকালই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্ঞানেশ কুমার, এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে এবার কংগ্রেস এমপি কে সি বেণুগোপাল নিশানা করলেন সরকার কে। তিনি তার সমাজমাদ্ধমের পেজ…

গতকালই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্ঞানেশ কুমার, এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে এবার কংগ্রেস এমপি কে সি বেণুগোপাল নিশানা করলেন সরকার কে। তিনি তার সমাজমাদ্ধমের পেজ বলেন যে শাসক সরকার দেশের সংবিধানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বেনুগোপাল বলেন, “নতুন সিইসি নিয়োগের মাধ্যমে সরকার নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের উপর সরকারের প্রভাব বাড়ানোর একটি চক্রান্ত।”

তিনি আরো বলেন মধ্য রাতে এরকম সিদ্ধান্ত সংবিধান বিরোধী। তিনি আরও বলেন, “আজকের তাড়াহুড়ো করে সভা ডেকে নতুন সিইসি নিয়োগের সিদ্ধান্ত একেবারে পরিষ্কারভাবে দেখাচ্ছে যে তারা সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণকে এড়ানোর চেষ্টা করছে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে চাইছে না।” বেনুগোপাল আরও দাবি করেছেন, “এমন আচরণ শুধুমাত্র এই সন্দেহকে আরও মজবুত করছে যে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী নির্বাচনী প্রক্রিয়া ধ্বংস করছে এবং নিজেদের সুবিধার জন্য নিয়ম ভেঙে ফেলছে। মিথ্যা ভোটার তালিকা, বিজেপির পক্ষ থেকে সময়সূচী ঠিক করা, কিংবা ইভিএম হ্যাকিং নিয়ে উদ্বেগ—এই সব কারণে সরকার এবং যে সিইসিগুলো তারা নিয়োগ করেছে তা নিয়ে গভীর সন্দেহ রয়েছে।”

   

তিনি বলেন, “যেমন লিডার অফ অপজিশন সঠিকভাবে বলেছেন, এই সিদ্ধান্তটি তখন পর্যন্ত স্থগিত রাখা উচিত ছিল, যতক্ষণ না সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের অনুযায়ী এই বিষয়টি নিষ্পত্তি না করতো।” এই সমালোচনার সময়, জ্ঞানেশ কুমারকে নতুন সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় একটি নোটিফিকেশন জারি করে জানিয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ থেকে জ্ঞানেশ কুমারকে ভারতের নতুন সিইসি হিসেবে নিয়োগ করছেন।

অন্য একটি নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে যে, ডঃ বিবেক জোশীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি হরিয়ানা কেডারের ১৯৮৯ ব্যাচের আইএএস কর্মকর্তা। জ্ঞানেশ কুমার রাজীব কুমারের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন, যিনি ১৮ ফেব্রুয়ারি সিইসির পদ থেকে অবসর নেবেন।এই ঘটনাটি নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।