লিগের মাঝপথে নয়া ফতোয়া জারি করল BCCI

উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ (WPL 2025) ২০২৫-এর শুরুতেই এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, যা আম্পায়ারিং এবং বিশেষ করে এলইডি (LED) উইকেটকে কেন্দ্র করে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)…

BCCI Update new rule on WPL 2025

উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ (WPL 2025) ২০২৫-এর শুরুতেই এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, যা আম্পায়ারিং এবং বিশেষ করে এলইডি (LED) উইকেটকে কেন্দ্র করে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) মধ্যে ম্যাচ চলাকালীন, এলইডি বেলকে নিয়ে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি ঘিরে বিসিসিআই (BCCI) টুর্নামেন্টের মাঝেই নিয়ম পরিবর্তনের ঘোষণা করেছে।

এলইডি উইকেটের আলো জ্বলে উঠলে, সাধারণত সেটিকে উইকেট ভাঙা হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু মুম্বই বনাম দিল্লি ম্যাচে দেখা যায় যে, বেলটি উইকেট থেকে পুরোপুরি উঠে যায়, কিন্তু আম্পায়ার এটি উইকেট ভাঙা হিসেবে গণ্য করেননি। পরিবর্তে, তারা অপেক্ষা করেন, যতক্ষণ না বেলের দুটো প্রান্ত সম্পূর্ণভাবে উইকেট থেকে আলাদা হয়ে যায়, সেই সময়েই সেটিকে উইকেট ভাঙা হিসেবে ধরা হয়। এই নিয়মটি সংশ্লিষ্ট ম্যাচে বিতর্কের সৃষ্টি করে এবং টুর্নামেন্টের শুরুতেই অস্বস্তি তৈরি হয়।

   

ডব্লুপিএলের পুরোনো নিয়ম অনুযায়ী, এলইডি উইকেট ব্যবহৃত হলে, যদি বেলের আলো জ্বলে উঠত, তবে সেটিকে উইকেট ভাঙা হিসেবে ধরা হতো। তবে, ভিডিও ফ্রেমে প্রথমবার যদি বেল বা উইকেটের আলো জ্বলত, তা হলেই সেটাকে উইকেট ভাঙা হিসেবে গণ্য করা হতো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে, যখন বেলটি উইকেট থেকে পুরোপুরি উঠে গেলেও, তা উইকেট ভাঙা হিসেবে গণ্য হয়নি, তখন বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।

বিসিসিআই এই নতুন নিয়মটি মুম্বই বনাম দিল্লি ম্যাচের আগে সংশ্লিষ্ট ম্যাচ অফিসিয়ালদের জানালেও, পরবর্তী সময়ে দলগুলোকে একদিন পর এই নিয়মের পরিবর্তন জানানো হয়। এতে করে ম্যাচের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এবং দলগুলোর মধ্যে অস্বস্তি বাড়ে।

প্রযুক্তিগত সমস্যাও এই পরিবর্তনের পেছনে এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। বিসিসিআই দীর্ঘদিন ধরে আইপিএল ও ডব্লুপিএলে এলইডি বেল ব্যবহার করে আসছে। তবে, এই বছর যে বিশেষ এলইডি বেলটি ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই বেলটি ঠিকভাবে আলো জ্বালতে পারছে না, ফলে নিয়ম পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে বিসিসিআই।

Advertisements

এছাড়াও, নতুন নিয়মটি সময়মতো দলের কাছে পৌঁছায়নি, যার কারণে সংঘটিত হয় বিতর্ক। ক্রিকেটের মতো এমন দ্রুতগতির খেলায় প্রযুক্তিগত এবং নিয়মগত ভুলের কারণে খেলার মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে, যা দল ও দর্শকদের কাছে দুঃখজনক।

বিসিসিআইয়ের এই সিদ্ধান্তের পর, প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বিশ্লেষকরা এই বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, এটি প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর উন্নতির সময়। তবে নিয়মে পরিবর্তন করা হলেও, এটি টুর্নামেন্টের অগ্রগতির জন্য ইতিবাচক হতে পারে, যদি সব দিক থেকে পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।

সর্বোপরি, ডব্লুপিএল-এর এই নিয়ম পরিবর্তন আবারও একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়, যে কোনো প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কিংবা নতুন নিয়মের প্রয়োগের আগে তার সঠিক প্রস্তুতি এবং যথাযথ সংবেদনশীলতার প্রয়োজন।