গত শনিবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কেরালা ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল জোসে মোলিনার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সঙ্গে। ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকায় এদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছিল আদ্রিয়ান লুনাদের। যারফলে অনায়াসেই বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করে নিয়েছিল দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। তবে সেটা কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি কারুর পক্ষেই। বরং ঠান্ডা মাথায় দলের সাক্ষাৎ পতন রোধ করেন বাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। তারপর সময় এগোনোর সাথে সাথেই চাপ বাড়াতে থাকে প্রতিপক্ষ দল।
ক্রমশ বল দখলের লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়তে থাকে কেরালা ব্লাস্টার্স। তারপর সুযোগ বুঝেই পাল্টা আক্রমণে উঠে আসে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তারপর দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শেষের দিকেই প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের টেক্কা দিয়ে বল গোলে ঠেলে দেন অজি বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন। যারফলে অনায়াসেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। যদিও তাঁর পর থেকেই গোল শোধ করে ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে জেসুস জেমিনেজ থেকে শুরু করে কোয়ামি পেপরার মতো ফুটবলাররা। কিন্তু শুভাশিস বসু থেকে শুরু করে টম অলড্রেডদের দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
বরং প্রথমার্ধের শেষে দ্বিতীয় গোল তুলে নেন জেমি ম্যাকলারেন। এবারের মরসুমের শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও সময়ের সাথে সাথেই দুরন্ত ছন্দে ধরা দিতে শুরু করেন এই বিদেশি ফুটবলার। গত পাঞ্জাব ম্যাচের পর এবার সেই ধারা বজায় থাকল কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচে। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি আপামর বাগান জনতা। পাশাপাশি দলের রক্ষণভাগের অন্যতম স্তম্ভ আলবার্তো রদ্রিগেজের গোল নিঃসন্দেহে বাড়তি পাওনা ছিল সবুজ-মেরুনের কাছে। অপরদিকে, এই ম্যাচে পরাজিত হওয়ার ফলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সুপার সিক্সের লড়াইয়ের নিজেদের টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই ফুটবল ম্যাচ।
সেই ম্যাচে পরাজিত হওয়ায় কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গেল দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। পাশাপাশি এই ম্যাচে ফের হলুদ কার্ড দেখেন কেরালা দলের অন্যতম ভরসাযোগ্য ডিফেন্ডার হর্মিপাম রুইভা। যারফলে আগামী গোয়া ম্যাচে হয়তো তাঁকে মাঠে পাবেননা থেক্কাথারা পুরুষোথামণ। যা নিঃসন্দেহে চাপে রাখবে দলের রক্ষণভাগকে।