‘মোদী সরকারের চাপের মুখে ভারতীয় আদালত?’ BBC-তে পালটা মন্তব্য ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়ের

ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি (CJI) ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় সম্প্রতি BBC-এর HARD talk শো-এ অংশ নেন। এই সাক্ষাৎকারে, প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে ভারতের আদালতগুলির উপর মোদী সরকারের প্রভাব…

modi-government-pressure-indian-courts-dy-chandrachud-bbc-response

ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি (CJI) ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় সম্প্রতি BBC-এর HARD talk শো-এ অংশ নেন। এই সাক্ষাৎকারে, প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে ভারতের আদালতগুলির উপর মোদী সরকারের প্রভাব ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ সম্পর্কে কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তিনি স্পষ্টভাবে এই সমস্ত অভিযোগকে খারিজ করেন এবং দেশের বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা বজায় রাখার ব্যাপারে তাঁর দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেন।

সাক্ষাৎকারে স্টিফেন স্যাকুর দ্বারা উত্থাপিত বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ে চন্দ্রচূড় নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। বিশেষত, রাম মন্দির, ৩৭০ ধারা বাতিল এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে চন্দ্রচূড় বলেন, “বিচারপতিরা কখনও রাজনৈতিক বা বাহ্যিক চাপের কাছে নত হন না। আমরা শুধুমাত্র আইনের শাসন এবং সংবিধানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

   

ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় আদালতের স্বাধীনতা রক্ষা এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে বিচারব্যবস্থার ভূমিকা সম্পর্কে তার মতামত স্পষ্ট করে বলেন, “ভারতের বিচার ব্যবস্থায় কোনো ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিষয় নেই। আমরা আইন এবং সংবিধানের অধীনে স্বাধীনভাবে কাজ করি। আমাদের কোনও সিদ্ধান্ত কখনোই বাহ্যিক প্রভাবের দ্বারা প্রভাবিত হয় না।”

প্রধান বিচারপতি হিসেবে চন্দ্রচূড়ের দায়িত্বের সময় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কিছু রায় যেমন রাম মন্দির মামলা, ৩৭০ ধারা রদ এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)-এর মত বিতর্কিত বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এই সমস্ত মামলার রায় আইন অনুসারে দিয়েছি, এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইন এবং বিচারব্যবস্থা কখনও রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য নয়।”

তবে, রাজনৈতিক চাপের অভিযোগের ব্যাপারে তিনি জানান, “আমরা সবসময় আইন অনুসরণ করি এবং বিচারের স্বাধীনতা রক্ষা করি। আদালত দেশের গণতন্ত্রের একটি মূল স্তম্ভ, এবং বিচারপতিরা কোন রাজনৈতিক পক্ষের সাথে নত হতে পারেন না।”

এছাড়াও, ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় আদালতের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ ও সংশয়কে মিথ্যা দাবি জানিয়ে বলেন, “ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা সব সময় আইনের শাসনের ভিত্তিতে কাজ করে। আমাদের কাজ শুধুমাত্র জনগণের জন্য, আইন অনুযায়ী, বিচার নিশ্চিত করা।”

চন্দ্রচূড়ের এই বক্তব্য ভারতের বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা এবং স্বাধীনতা বজায় রাখতে দৃঢ় পদক্ষেপের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।