গ্লোবাল মার্কেটে কাঁচা তেলের দাম (Petrol Diesel Price) কমার ফলে বৃহস্পতিবার সকালে দেশের বিভিন্ন শহরে পেট্রোল ও ডিজেলের দামেও কিছুটা পরিবর্তন দেখা গেছে। সরকারি তেল কোম্পানিগুলির ঘোষণা অনুযায়ী, আজ দেশের বেশিরভাগ শহরে তেলের দাম কমেছে। তবে, দিল্লি, মুম্বাই এবং অন্যান্য বড় শহরগুলিতে তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বিশ্ববাজারে কাঁচা তেলের দাম গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা কমেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৭৫.১৮ ডলার প্রতি ব্যারেল হয়ে গেছে, আর ডব্লিউটিআই (WTI) এর দামও কমে ৭১.২৪ ডলার প্রতি ব্যারেল হয়ে পৌঁছেছে। যদিও দেশের চারটি বড় মহানগরীতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে।
তবে, দেশের বড় শহরগুলোতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম (Petrol Diesel Price) এভাবে রয়েছে:
দিল্লিতে পেট্রোল ৯৪.৭২ টাকা এবং ডিজেল ৮৭.৬২ টাকা প্রতি লিটার
মুম্বাইতে পেট্রোল ১০৩.৪৪ টাকা এবং ডিজেল ৮৯.৯৭ টাকা প্রতি লিটার
চেন্নাইতে পেট্রোল ১০০.৭৬ টাকা এবং ডিজেল ৯২.৩৫ টাকা প্রতি লিটার
কলকাতায় পেট্রোল ১০৪.৯৫ টাকা এবং ডিজেল ৯১.৭৬ টাকা প্রতি লিটার
তবে গাজিয়াবাদ, নোয়ডা, পাটনায় তেলের দাম কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। গাজিয়াবাদে পেট্রোল ৯৪.৭৭ টাকা এবং ডিজেল ৮৭.৮৯ টাকা প্রতি লিটার হয়ে গেছে। নোয়ডায় পেট্রোল ৯৪.৭০ টাকা এবং ডিজেল ৮৭.৮১ টাকা প্রতি লিটার। পাটনায় পেট্রোল ১০৫.৪১ টাকা এবং ডিজেল ৯২.২৬ টাকা প্রতি লিটার হয়ে গেছে।
প্রতিদিন সকাল ৬টায় নতুন দাম ঘোষণা করা হয়। সেই সময় থেকেই নতুন দাম কার্যকর হয়ে যায়। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নির্ধারণের সময় এক্সাইজ ডিউটি, ডিলার কমিশন, ভ্যাট এবং অন্যান্য খরচ যোগ করা হয়, যার ফলে মোট দাম অনেকটা বাড়ে। এ কারণে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অনেক বেশি দেখায়।
বিশ্ববাজারে কাঁচা তেলের দাম কমার পরও দেশের বড় শহরগুলিতে কেন তেলের দাম পরিবর্তন হয়নি, তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে তেলের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে একাধিক দিক বিবেচনায় নেওয়া হয়। অর্থাৎ, কাঁচা তেলের দাম কমলেও সরকারের রাজস্ব এবং অন্যান্য খরচের কারণে স্থানীয় দাম কমাতে কিছু সময় লাগে।
তবে, একসময় যে তেলের দাম একেবারে আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছিল, বর্তমানে তাতে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। বিশেষ করে গ্যাস এবং কাঁচা তেলের দামে ওঠানামার মধ্যে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ দেখা গেছে। এতে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও উপকৃত হচ্ছেন। তবে, ভবিষ্যতে এই প্রবণতা কেমন থাকবে, তা দেখতে হবে।
এদিকে, ভারতে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হল আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা, দেশীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন এবং বিভিন্ন সরকারি ট্যাক্স। যেহেতু দেশের তেল কোম্পানিগুলি আন্তর্জাতিক বাজারে তেল আমদানি করে, সেই কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামা তেলের দামে প্রভাব ফেলে।
এই মুহূর্তে ভারতের জ্বালানি খাতে অস্থিরতা কিছুটা কমলেও, তেলের দামে আরেকটি বড় উঠানামা দেখা দিলে সাধারণ মানুষের কাছে এটি বেশ চাপ তৈরি করবে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য এই দাম পরিবর্তন বড় প্রভাব ফেলতে পারে।