অযোধ্যা: প্রয়াত অযোধ্যার শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস৷ বুধবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। কিছুদিন আগে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি৷ লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (SGPGI) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের শিষ্য প্রদীপ দাস তাঁর মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার অযোধ্যায় সরযূ নদীর তীরে আচার্যজি’র শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বর্তমানে তাঁর দেহ লখনউ থেকে অযোধ্যা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আচার্য সত্যেন্দ্র দাসকে হাসপাতালে ভর্তি করার সময়ই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাতেও ভুগছিলেন।
গত মাসে, আচার্য সত্যেন্দ্র দাস রাম লালার মূর্তির প্রথম প্রাণপ্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি ওই অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলেন, “এটি ছিল একটি অত্যন্ত সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান।”
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদকাণ্ডের সময় সত্যেন্দ্র দাস ছিলেন রাম মন্দিরের অস্থায়ী পুরোহিত৷ তবে থেকেই তিনি রামলালার সেবায় নিয়োজিত। ধীরে ধীরে তিনি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হয়ে ওঠেন। নির্বাণী আখড়ার সঙ্গে যুক্ত এই আচর্য সর্বদাই তাঁর ভক্তদের পাশে ছিলেন৷ ভক্তরা চাইলেই তাঁর সাক্ষাৎ পেতেন। যে কোনও সমস্যায় তাঁরা ছুটে যেতেন সত্যেন্দ্র দায়ের কাছে। অযোধ্যা এবং রাম মন্দির সম্পর্কে গভীর জ্ঞান ছিল তাঁর। ২০২৪ সালে যখন অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার অভিষেক হয়, তখন পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের সঙ্গে সারা দেশের মানুষের পরিচয় ঘটে৷
আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, আচার্যজির মৃত্যুতে “অপূরণীয় ক্ষতি” হয়ে গেল৷ এক শোক বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ” ভগবান রামের পরম ভক্ত ছিলেন তিনি। শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দির, শ্রী অযোধ্যা ধামের প্রধান পুরোহিত আচার্য শ্রী সত্যেন্দ্র কুমার দাস জি মহারাজের মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাময়। তাঁর মৃত্যু আধ্যাত্মিক জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই! ভগবান শ্রী রামের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন তাঁর আত্মাকে চরণে স্থান দেন এবং শোকাহত শিষ্য ও অনুগামীদের এই অপরিসীম ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দেন”