গত সোমবার অ্যাওয়ে ম্যাচে শক্তিশালী ওডিশা বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল পাঞ্জাব এফসি (Punjab FC)। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হয় এই ফুটবল ম্যাচ। যারফলে ১৯ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের নবম স্থানেই থাকতে হল রিকি সাবংদের। হিসাব অনুযায়ী এটি সার্জিও লোবেরার ছেলেদের হোম ম্যাচ হলেও প্রথম থেকেই যথেষ্ট দাপটের সাথে খেলতে দেখা গিয়েছিল পাঞ্জাব ফুটবলারদের। ম্যাচের একেবারে প্রথম লগ্নেই গোল তুলে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন দলের তারকা ফরোয়ার্ড। সেইমতো বল গোলে রাখলে ও অফসাইডের জন্য বাতিল করা হয় সেটি।
পরবর্তীতে ওডিশা এফসির তারকা ফুটবলার রাহুল কেপি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তেই বাড়তি অ্যাডভান্টেজ পায় পাঞ্জাব এফসি। ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথেই ঘন ঘন আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করে পুলগা ভিদালরা। তারপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময় রিকি সাবংয়ের অ্যাসিস্ট থেকে অনবদ্য গোল করে যান পেট্রোস গিয়াকৌমাকিস। সুযোগ বুঝেই প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে হানা দিয়ে দূরপাল্লার শট নেন এই গ্ৰীক ফরোয়ার্ড।
কোনও জবাব ছিল না ওডিশার ডিফেন্ডারদের কাছে। সেই সুবাদে এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নিজের প্রথম গোল করে ফেলেন এই তারকা। প্রথমার্ধে সেই গোলেই এগিয়েছিল পাঞ্জাব শিবির।
দ্বিতীয়ার্ধে সেই গতি বজায় রাখার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। বরং চতুর্থ কোয়ার্টারের মধ্যেই ম্যাচে ফিরে আসে ওডিশা এফসি। গোল করে যান ইসাক ভানলালরুয়াতফেলা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমন গোল খাওয়ায় যথেষ্ট চাপে চলে আসে পাঞ্জাব দল। শেষের দিকে পাঞ্জাব এফসির ফুটবলারদের তরফে বেশ কয়েকবার আক্রমণ সংগঠিত হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ দলের কোচ প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিস। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” ম্যাচের প্রথম থেকেই পাঞ্জাব এফসি গোটা ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করছিল। আমাদের ছেলেরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সাথে লড়াই করছিল। সেইসাথে অবশ্যই ওদের লাল কার্ড আমাদের সাহায্য করেছিল।”
তবে এগিয়ে থেকে ও কলিঙ্গের বুকে ওডিশা এফসিকে যে হারানো সহজ নয় সেটাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা গোল করেছি। তারপর আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওডিশা এফসি দুর্দান্ত খেলেছে। আমরা এটি মোকাবেলা করতে পারিনি। দলের গোলরক্ষক থেকে উইঙ্গার ইসাক ভানলালরুয়াতফেলা পর্যন্ত যত লং বল এসেছিল সেগুলো যথেষ্ট চ্যালেঞ্জে রেখেছিল। তবে জয় আসলে আমরা কিছুটা ভালো পরিস্থিতিতে পৌঁছে যেতে পারতাম।”