গত রবিবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পরবর্তী হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)। কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল খালিদ জামিলের শক্তিশালী জামশেদপুর এফসির সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে তিনটি গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় সুনিশ্চিত করে আইএসএল জয়ী বেঙ্গালুরু।
এদিন দলের হয়ে জোড়া গোল করেন আলবার্তো নগুয়েরা এবং এডগার মেন্ডেজ। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি বেঙ্গালুরু সমর্থকরা। আসলে হোম ম্যাচ থাকায় এদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছিল রায়ান উইলিয়ামসদের। বিশেষ করে ম্যাচের প্রথম দিকেই গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন তারকা ফুটবলার এডগার মেন্ডেজ।
প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের টেক্কা দিয়ে অনায়াসেই উপরে উঠে গেলেও গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। পরবর্তীতে অর্থাৎ ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারের শেষের দিকে পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। সুনীল ছেত্রী পেনাল্টি থেকে গোল করার চেষ্টা করলেও সেটি আটকে দেন জামশেদপুর এফসির গোলরক্ষক অ্যালবিনো গোমস। তবুও গোলের মুখ খুলতে খুব একটা সমস্যা হয়নি বেঙ্গালুরু এফসির। এডগার মেন্ডেজের পা থেকেই চলে আসে প্রথম গোল। জবাবে বেশ কয়েকবার পাল্টা আক্রমণ করতে শুরু করলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি মহম্মদ শাননরা।
বেঙ্গালুরু গোলরক্ষক লালথুয়াম্মাউইয়া রাল্টের সক্রিয়তায় অনায়াসেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে গোটা পরিস্থিতি। শেষ পর্যন্ত ক্লিনশিট রেখেই জয় সুনিশ্চিত করে আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব। অন্যান্য দিন গুলির মতো এদিনও গুরপ্রীত সিং সান্ধুকে প্রথম একাদশে রাখার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত লালথুয়াম্মাউইয়াকে মাঠে নামান স্প্যানিশ কোচ জেরার্ড জারাগোজা (Gerard Zaragoza )।
সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গুরপ্রীত সিং সান্ধুর কিছুটা বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল। আমার মনে হয় লিগের প্রথম সাতটি ম্যাচে গুরপ্রীত এই সিজনের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন। তারপর সে কিছু ভুল করেছিল, অন্যদের মতো। এক্ষেত্রে আমি সকলকে বেঞ্চে রেখেছিলাম, আর তারপর তাঁরা যথেষ্ট ভালোভাবে ফিরে এসেছে। এখানেও প্রায় এক পরিস্থিতি।”
আর ও বলেন, আমরা চেয়েছিলাম সে একটু বিশ্রাম নিক। কিন্তু রাল্টেও ভালো পারফরম্যান্স করেছে। আমরা বহুদিন পর ক্লিনশিট ফিরে পেয়েছি। আর এখন দেখা যাক। কিন্তু আমি দুজনকে নিয়েই যথেষ্ট খুশি।”