দিন কয়েক আগেই নিজেদের ঘরের মাঠে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তাঁরা পরাজিত করেছে প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের পাঞ্জাব এফসিকে। এই ম্যাচের শুরু থেকেই পাঞ্জাব ফুটবলাররা দাপুটে পারফরম্যান্স করলেও সেটা বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত তিনটি গোলের ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করে সবুজ-মেরুন। সেই সুবাদে ২০ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করার পাশাপাশি লিগ শিল্ড প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে মোহনবাগান। হিসাব অনুযায়ী দেখলে আইএসএলের এই খেতাব জয় করার ক্ষেত্রে আর কয়েক পা দূরেই রয়েছে জোসে মোলিনার ছেলেরা।
সেক্ষেত্রে শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে জয় এক বিরাট বড় পাওনা সমর্থকদের কাছে। কার্ড সমস্যা দরুন এদিন মাঠে ছিলেন না আপুইয়া এবং টম অলড্রেডের মতো ফুটবলার। যা নিঃসন্দেহে চিন্তায় রেখেছিল সকলকে। তবে প্রথম থেকেই যথেষ্ট দাপুটে পারফরম্যান্স করতে শুরু করে মোহনবাগান। পাল্টা ছাড়েনি পাঞ্জাব দল। সুযোগ মতো যথেষ্ট ভয়ঙ্কর হতে শুরু করে ফুলগা ভিদাল থেকে শুরু করে পেট্রোস গিয়াকৌমাকিসরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বহু চেষ্টা করেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি পাঞ্জাব ফুটবলাররা। অমীমাংসিত ফলাফলে প্রথমার্ধ শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধ থেকে আরও ভয়ঙ্কর হতে শুরু করেছিল বাগান ব্রিগেড।
বিশেষ করে জেমি ম্যাকলারেনের পারফরম্যান্স তাঁক লাগিয়ে দিয়েছিল সকলকে। আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি অ্যাওয়ে ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে খেলতে নামবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। গত পাঞ্জাব ম্যাচের মতো এই ম্যাচে ও জয় পাওয়ার লক্ষ্য থাকবে শুভাশিস বসুদের। তবে এই ম্যাচে খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে দলের দুই তারকা ফুটবলারের। যাদের মধ্যে রয়েছেন সাহাল আব্দুল সামাদ এবং ডিফেন্ডার আশিষ রাই। বলাবাহুল্য, গত পাঞ্জাব ম্যাচের শেষের দিকে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল আশিষ রাইকে।
পরবর্তীতে ব্যান্ডেজ বেঁধেই স্টেডিয়াম ছাড়তে হয়েছিল জাতীয় দলের এই ভরসাযোগ্য ডিফেন্ডারকে। স্বাভাবিকভাবেই আগামী ম্যাচে আদৌও তাঁকে পাওয়া যাবে কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। এছাড়াও প্রায় একই রকম পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল দলের তারকা মিডফিল্ডার সাহাল আব্দুল সামাদের। মনে করা হচ্ছে হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যাতেই হয়তো ভুগছেন এই ফুটবলার। সেক্ষেত্রে কেরালা ম্যাচে আদৌও এই দুই ফুটবলারকে পাওয়া যাবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।