গত রবিবার আইএসএলের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল জামশেদপুর এফসি (Jamshedpur FC)। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল জেরার্ড জারাগোজার শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে তিনটি গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় সুনীল ছেত্রীর এই ফুটবল দল। এই জয়ের সুবাদে ২০ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে থাকল বেঙ্গালুরুর এই ফুটবল ক্লাব। বলাবাহুল্য, ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকায় এদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছিল এই ফুটবল দলকে।
ম্যাচের একেবারে প্রথম দিকেই গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন তারকা ফুটবলার এডগার মেন্ডেজ। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের ফুটবলারদের টেক্কা দিয়ে অনায়াসেই উপরে উঠে গেলেও গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। এরপর প্রায় এগারো মিনিটের মাথায় পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। সুনীল ছেত্রী পেনাল্টি থেকে গোল করার চেষ্টা করলেও সেটি আটকে দেন জামশেদপুর এফসির গোলরক্ষক অ্যালবিনো গোমস। যা রীতিমতো চমকে দিয়েছিল সকলকে। কিন্তু বেশিক্ষণ সেটা ধরে রাখা সম্ভব হয়নি জামশেদপুরের পক্ষে।
তারপর সুযোগ বুঝেই পাল্টা আক্রমণ শাননের। তবে অনায়াসেই সেটি সেভ করে দেন ভারতীয় দলের গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। ম্যাচের ৪৩ মিনিটের মাথায় চলে আসে বহু প্রতীক্ষিত গোল। বেঙ্গালুরু এফসির জার্সিতে গোল করে যান এডগার মেন্ডেজ। প্রথমার্ধের শেষে সেই একটি মাত্র গোলেই এগিয়ে থাকে বেঙ্গালুরু দল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেই দলের হয়ে জোড়া গোল করে যান আলবার্তো নগুয়েরা। পরবর্তীতে একাধিকবার আক্রমণে উঠে আসলেও গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি জামশেদপুরের পক্ষে। যারফলে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয় খালিদ জামিলের ছেলেদের।
সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ এই ভারতীয় কোচ। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” এদিন আমাদের দলের পারফরম্যান্স তেমন একটা ভালো ছিল না। তবে পরবর্তী অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকেই আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এক্ষেত্রে ফুটবলারদের আরও মনোযোগী হতে হবে। বিশেষ করে দ্বিতীয় গোলের পর থেকেই ম্যাচের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে যায়। তারপর তৃতীয় গোল। খেলোয়াড়দের মনোবলে প্রভাব ফেলেছিল। তবে এখানে থেকে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।”