সৌরভ গাঙ্গুলির কারখানা নিয়ে এখনো জট কাটলো না। বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনেও ঘনালো না কোনো আশার মেঘ। পশ্চিম মেদিনীপুরের বণিক মহল আশংকায় আদৌ এই প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে হবে তো নাকি চলে যাবে পশ্চিমবঙ্গে বাইরে। ২০২৩ সালে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ইউরোপ সফরে যোগদান করে পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি লোহার রড তৈরির কারখানা করার প্রস্তাব দেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক।
শালবানীতে জিন্দালদের পরিত্যক্ত জমিতেই এই কারখানা হবে বলে জানা যায় এবং সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছিলেন ৬ মাসের মধ্যে এই কারখানা নির্মাণের কাজ শেষ হবে। প্রথমে শালবনিতে এবং তারপরে চন্দ্রকোনা তে প্রয়াগ ফিল্ম সিটির পরিত্যক্ত জমিতে এই কারখানা হবে বলে শোনা যায়। কিন্তু আইনি জটিলতাতে কারখানার ভবিষৎ এখন বিশ বাওঁ জলে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বণিক মহল ইতিমধ্যেই আশঙ্কার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এই ভেবে যে কারখানার প্রকল্প কি তাহলে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে চলে যেতে পারে।
কি এই আইনি জটিলতা ?
রাজ্য সরকার ১ টাকার বিনিময়ে সৌরভের সংস্থা কে ৩৫০ একর জমি দিতে চেয়েছিলো কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে প্রয়াগে বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে আগে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে হবে তার পর সরকার জমি দেওয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আদালত ও আমানতকারীদের আবেদনের ভিত্তিতে জমির বাজার মূল্য নির্ধারণ করে টেন্ডার ডাকার নির্দেশ দিয়েছে।
কার্যত এই আইনি জটিলটা তে আশাহত হয়েছেন বণিক মহল এবং কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন সৌরভ কেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কারখানার প্রকল্পটি শেষ করা হবে। বিশ্ব বাণিজ্য মেলার দিকে নজর ছিল সবার কিন্তু তাতেও কোনো ঘোষণা হলোনা এই কারখানা নিয়ে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ দাবি করেছে যে বিনামূল্যে জমি দেওয়ার জন্য সৌরভ, মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু আইনি জটিলতা না কাটলে জমি পাচ্ছেন না সৌরভ। তবে কি বাণিজ্য সম্মেলনের চাকচিক্কে কোথাও চাপা পড়ে যাচ্ছে রাজ্যে বড় শিল্পের স্বপ্ন।