গত শুক্রবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড (NorthEast United FC)। তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল গতবারের আইএসএল জয়ী ফুটবল ক্লাব মুম্বাই সিটি এফসির সঙ্গে। পূর্ণ সময়ের শেষে দুই গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় পেট্রো ক্র্যাটকির ছেলেরা। যারফলে পাহাড়ের এই ফুটবল ক্লাবকে পিছনে ফেলে অনায়াসেই তাঁরা উঠে আসে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে। বর্তমানে শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির থেকে মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে পঞ্চম স্থানে নেমে আসলো নর্থইস্ট ইউনাইটেড। সেই নিয়ে কিছুটা হলেও হতাশ সকল সমর্থকরা। তবে এদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট দাপট থেকেছে এবারের ডুরান্ড জয়ীদের।
ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টার থেকেই গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন নর্থইস্টের তারকা ফুটবলার আলাদিন আজারেই। কিন্তু গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি এই মরোক্কান তারকার পক্ষে। এরপর ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ও মুম্বাই সিটির ডিফেন্ডারদের পরাজিত করে বল নিয়ে উঠে এসেছিলেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। কিন্তু বল গোলে রাখা সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। নাহলে অনায়াসেই এগিয়ে যেতে পারত জন আব্রাহামের এই ফুটবল ক্লাব। তারপর মহম্মদ বেমামার গোলের পরিস্থিতি তৈরি করলেও ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকেনি নর্থইস্টের। অপরদিকে, পাল্টা আক্রমণে উঠে প্রথমার্ধের শেষের দিকে গোল তুলে নেন বিপিন সিং।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ফের আক্রমণে উঠে গোল শোধ করার লক্ষ্য থাকলেও সেটা কাজে আসেনি। যদিও পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার গোলের সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন জন তোরালরা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের অতিরিক্ত সময় এসে মুম্বাইয়ের হয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে যান ছাংতে। তবে এদিন শুরু থেকে ভালো খেলে ও গোল না আসায় যথেষ্ট হতাশ পেদ্রো বেনালি। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নর্থইস্ট কোচ বলেন, “আমরা গোটা ম্যাচে সবকিছু করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কাজ হয়নি। বরং তাঁরা পয়েন্ট পেয়েছে। বিশেষ করে দল প্রথম গোল হজম করার পর থেকেই দলের ফুটবলাররা আত্মবিশ্বাস হারাতে শুরু করেছিল। যার প্রভাব পড়েছে ম্যাচের মধ্যে।”
আর ও বলেন, “আমাদের কাছে গোলের মুখ খোলার অনেক সুযোগ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরাই সফল হয়েছে। বিশেষ করে যখন মুম্বাই সিটি এফসির মতো দল গোলে এগিয়ে যায় তাঁদের বিরুদ্ধে ম্যাচে ফিরে আসা সড়ক হয় না। সেক্ষেত্রে ছেলেরা একটু তাড়াহুড়ো শুরু করে দিয়েছিল। এই সমস্ত সমস্যা গুলো শুধরে নিতে হবে।”