বেআইনি আবাসন নিয়ে চাপানউতোর তুঙ্গে, এর মাঝেই পুলিশের জালে ট্যাংরার সাদা বহুতলের প্রোমোটার। গত ২২ এ জানুয়ারী ট্যাংরা তে পাশাপাশি দুটি বহুতলের একটি হেলে পড়ে। চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় আবাসিকদের মধ্যে। পুলিশি তদন্তের পরে তড়িঘড়ি গ্রেপ্তার করা হয় হেলেপড়া সবুজ বহুতলের প্রোমোটারকে। এর আগে বাঘাযতীন এলাকাতে আর একটি বহুতল হেলে পড়ে, প্রোমোটার সুভাষ রায় কে গ্রেপ্তার করা হয় বকখালীর ফ্রেজারগঞ্জ থেকে। কলকাতা পুর আধিকারিকরা হেলে পড়া বাড়িটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন কিন্তু বাড়ি ভাঙতে এলে পুরসভার কর্মীরা আবাসিকদের রোষের মুখে পড়েন, বন্ধ করে দেওয়া হয় বহুতলের কোলাপ্সিবল গেট।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাসন্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ট্যাংরার সাদা বহুতল বাড়ির আর এক প্রোমোটার কে। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে হেলে পড়া সবুজ বহুতলের প্রোমোটার। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত প্রোমোটার দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ আবাসন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রশাসনের নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সে বেআইনি ভাবে বহুতল তৈরি করছিল বলে অভিযোগ। ট্যাংরার সাদা বহুতল নিয়ে বহুদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল, কিন্তু অভিযোগ জানানোর পরও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অবশেষে তদন্তের জালে ধরা পড়ল এই প্রোমোটার।
সম্প্রতি ট্যাংরার একাধিক বহুতল আবাসন নিয়ে অভিযোগ জমা পড়তে থাকে। পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর জানা যায়, বেশ কয়েকটি প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতি ও বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। আবাসনের ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগও ওঠে। অভিযোগ, গ্রেপ্তার হওয়া প্রোমোটার বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েও ফ্ল্যাটের মালিকানা দিচ্ছিল না। কেউ টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দেওয়া হত।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত প্রোমোটারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। ট্যাংরা আবাসন কাণ্ডে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, বেআইনি নির্মাণের পিছনে কোনো প্রভাবশালী চক্র কাজ করছে কিনা, তা নিয়েও তদন্ত চালানো হচ্ছে।স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, প্রশাসনের দীর্ঘদিনের উদাসীনতার কারণেই এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে। তারা চাইছেন, শুধু গ্রেপ্তার নয়, ক্ষতিগ্রস্ত ক্রেতাদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্যও সরকার ব্যবস্থা নিক।