নিষিদ্ধ সিরাপ এ নগদ লেনদেন এর অভিনব পদ্ধতি হাওয়ালা: টোকেনেই টাকা

গত ৩০ এ জানুয়ারী নাদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এলাকার মাজদিয়া থেকে উদ্ধার হয়েছে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ভর্তি বাঙ্কার। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এদিন চারটি বাঙ্কার থেকে প্রায় ১.৫…

short-samachar

গত ৩০ এ জানুয়ারী নাদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এলাকার মাজদিয়া থেকে উদ্ধার হয়েছে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ভর্তি বাঙ্কার। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এদিন চারটি বাঙ্কার থেকে প্রায় ১.৫ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সিরাপ উদ্ধার করে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে নাদিয়া সীমান্ত দিয়ে এই সিরাপই পাচার হতো বাংলাদেশে। কিন্তু টাকার লেনদেন কিভাবে হবে ? নগদে তা সম্ভব নয়, সম্ভব নয় ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার এর মতো বৈধ কোনো পদ্ধতি। হাওয়ালা পদ্ধতি একটি অভিনব পদ্ধতি যা সচরাচর পাচারকারী রা ব্যবহার করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, এই নতুন পদ্ধতির ফলে মাদক কারবারিদের শনাক্ত করা আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।

   

কী এই ‘হাওয়ালা’ পদ্ধতি?
‘হাওয়ালা’ মূলত একটি গোপন আর্থিক লেনদেনের ব্যবস্থা, যেখানে নগদ অর্থের বিনিময়ে কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল মাধ্যমে কোনো প্রত্যক্ষ লেনদেন হয় না। মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় এই পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে, নিষিদ্ধ সিরাপের ব্যবসায়ীরা এই পদ্ধতির এক নতুন সংস্করণ চালু করেছে, যেখানে অর্থের বদলে ‘টোকেন’ ব্যবহার করা হচ্ছে।

কীভাবে কাজ করছে এই টোকেন ব্যবস্থা?
মাদক চক্রের সদস্যরা সরাসরি নগদ টাকা লেনদেন না করে গ্রাহকদের ‘টোকেন’ দেয়, যা পরে নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে পণ্য গ্রহণের সুযোগ দেয়। টোকেন হতে পারে ডিজিটাল সংকেত, পাসওয়ার্ড, বা এমনকি ছদ্মবেশী কুপন। কেউ যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করে, তাকে একটি কোড বা টোকেন দেওয়া হয়। এরপর ক্রেতা নির্দিষ্ট লোকেশনে গিয়ে সেই টোকেন দেখিয়ে সিরাপ সংগ্রহ করে।

ডিএমপি’র এক কর্মকর্তা জানান, “নিষিদ্ধ সিরাপ চোরাচালানীরা এখন আগের চেয়ে বেশি প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠছে। টোকেন পদ্ধতির কারণে সরাসরি লেনদেন চিহ্নিত করা কঠিন হচ্ছে। তবে আমরা তাদের ধরতে বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছি।”এদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র‍্যাবও সীমান্ত এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে, কারণ বেশিরভাগ নিষিদ্ধ সিরাপ পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অবৈধ পথে আসে। তবে ভাবনার বিষয় এটাই যে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নজর এড়িয়ে দিনের পর দিন কিভাবে এই পাচার এবং লেনদেন চলছে। যদিও অভিযুক্ত সুশান্ত ঘোষ (লাল) গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত করে দেখছে তার সাথে অন্য পাচারকারী দের যোগাযোগ আছে কিনা। কৃষ্ণনগর পুলিশ এর মতে এক এক বোতলে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা অব্দি লাভ রাখে পাচারকারীরা।