সংসদের বাজেট অধিবেশন, বিরোধী বৈঠক ছাড়া শুরু, তৃণমূলের দাবি স্পষ্ট

আজ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন (Budget Session)। ২০২৫ সালের বাজেট অধিবেশনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, কারণ এটি মোদী ৩.০ সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট।…

Budget Session Begins Today Without Opposition Meeting, TMC Distances Itself from Congress

আজ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন (Budget Session)। ২০২৫ সালের বাজেট অধিবেশনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, কারণ এটি মোদী ৩.০ সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। বাজেট অধিবেশনটি শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তব্য দেবেন, এবং ১১টায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেবেন। এবারের বাজেট অধিবেশন অন্যান্য বার্ষিক অধিবেশন থেকে কিছুটা ভিন্ন, কারণ বিরোধী দলগুলির কোনও বৈঠক ছাড়াই এটি শুরু হতে চলেছে।

১ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট (Budget Session) পেশ করবেন। এর পর, একই দিনে অর্থমন্ত্রী ইকোনমিক সার্ভে রিপোর্টও পেশ করবেন। সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার পর, দুপুরে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে এনডিএ সাংসদদের বৈঠক হবে, যেখানে বাজেট অধিবেশন ও ফ্লোর কো-অর্ডিনেশন নিয়ে আলোচনা হবে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে, যেখানে “এক দেশ এক নির্বাচন” নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

   

অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা বাজেটে মধ্যবিত্তের সুবিধার জন্য আয়করের উপর ছাড়ের দাবি তুলবে। তৃণমূলের দাবি, বর্তমান বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য কিছু আর্থিক সুবিধা প্রয়োজন, যাতে তারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে পারে। তাছাড়া, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমায় জিএসটি ছাড় দেওয়ার দাবিও উঠেছে।

এছাড়া, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বা বিদেশমন্ত্রী বিবৃতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে যে, বাজেট অধিবেশনটি শুধুমাত্র আর্থিক দিক থেকে নয়, বরং আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।

বিরোধী দলগুলি বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে চলেছে। মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় সরকার প্রকৃত সত্য গোপন করতে চাইছে, এই অভিযোগে সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, কংগ্রেসসহ বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। এই বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।

ওয়াকফ সংশোধনী বিল এবং ভিসি নিয়োগের বিষয়ে ইউজিসি খসড়া নির্দেশিকার বিরোধিতা করতে সিপিএম, ডিএমকে এবং অন্যান্য বিরোধী দলও প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই সব বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলি সরব হতে পারে, বিশেষ করে যখন সংবিধান সংশোধন বা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নীতির বিষয় ওঠে।

এদিকে, দিল্লি নির্বাচনের আবহে কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে এক ধরনের বিভাজন দেখা দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের ডাকা কোঅর্ডিনেশন বৈঠকে তারা অংশ নেবে না। এর ফলে, কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক আরও জটিল হতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে, বাজেট অধিবেশন শুধু অর্থনীতি বা জাতীয় বিষয়েই নয়, বরং রাজনৈতিক সমীকরণ এবং বিরোধী দলগুলির অবস্থান নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিরোধীদের একত্রিত হওয়ার চেষ্টা এবং বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করার পরিকল্পনা থাকবে।