চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মরণ-বাঁচন পর্বে গুয়ার্দির ম্যান সিটি

যে ম্যাচটি তাদের জন্য হতে পারত বিপদের সেই ম্যাচেই শেষ হাসি হেসেছে ম্যানচেস্টার সিটি (Manchester City)। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (UEFA Champions League) গ্রুপ পর্বের শেষ…

যে ম্যাচটি তাদের জন্য হতে পারত বিপদের সেই ম্যাচেই শেষ হাসি হেসেছে ম্যানচেস্টার সিটি (Manchester City)। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (UEFA Champions League) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ক্লাব ব্রুজকে ৩-১ গোলে হারিয়ে নক আউটে পৌঁছালো পেপ গুয়ার্দিওলার (Pep Guardiola) দল। তাদের জন্য এ জয় একেবারে নিশ্চিতভাবেই প্রয়োজন ছিল। এবং তা পাওয়ার জন্য তারা এক কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে পড়েছিল।

প্রথমার্ধের ফলাফল

   

প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল কী হবে তা অনেকটা অনিশ্চিত ছিল। ক্লাব ব্রুজ প্রতিযোগিতার শেষ ২০ ম্যাচে অপরাজিত ছিল এবং তারা খুব ভালভাবে খেলেছিল। ম্যান সিটি প্রথম গোল করার দিক থেকে এগিয়ে গেলেও গুন্দোগানের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। এরপরই একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে ক্লাব ব্রুজ। ২১ মিনিটের মাথায় সিটি গোলের সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। কিন্তু ম্যাচের প্রথম গোল আসে ক্লাব ব্রুজের তরফ থেকেই। ৩৯ মিনিটে জুটগ্লারের নেওয়া শট প্রতিহত করেছিলেন সিটির গোলকিপার এদেরসন। কিন্তু ফিরতি বলে জোরালো শটে গোল করেন ওনিয়েদিকা। এর ফলে প্রথমার্ধ শেষে ক্লাব ব্রুজ ১-০ তে এগিয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে সিটির উত্থান

দ্বিতীয়ার্ধে সিটির খেলায় পরিবর্তন আসে। পেপ গুয়ার্দিওলা ৫৩ মিনিটে স্যাভিনহোকে মাঠে নামান এবং এই পরিবর্তনটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। স্যাভিনহো মাঠে নামার পরই ৫৩ মিনিটে সিটি সমতা ফেরায়। সিটির মিডফিল্ডার কোভাকিচ মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে একক দক্ষতায় গোল করেন এবং ম্যাচ ১-১ এ নিয়ে আসেন।

এরপর ৬২ মিনিটে সিটির পক্ষ থেকে আরেকটি গোল আসে। স্যাভিনহোর শট বিপক্ষ ডিফেন্ডার ওর্দোনেজের পায়ে লেগে গোলরক্ষকের নাগালের বাইরে চলে যায় এবং সিটি ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

৩-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করতে স্যাভিনহো তাঁর প্রথম গোলটি করেন। জন স্টোনসের লং বল ধরে তিনি বক্সে ঢুকে গোলকিপারের নাগাল এড়িয়ে সহজেই গোল করেন। এর ফলে সিটি দলের জয় নিশ্চিত করে এবং নক আউট পর্বে প্রবেশ করে। শেষে স্যাভিনহোর জয়সূচক গোল তাদের বাঁচিয়ে দেয়।

প্লে-অফের ভবিষ্যত সম্পর্কে কোচ গুয়ার্দিওলা বলেন “আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য। আমি জানি না তারা আমাদের বিরুদ্ধে খেলে খুশি কি না তবে যা ঘটেছে তা ঘটেছে। কোনো অভিযোগ নেই। আমরা তাদের মুখোমুখি হবো – একদিকে প্রতিযোগিতার রাজা আর অন্যদিকে দ্বিতীয় বা তৃতীয়।”

ম্যান সিটির পরবর্তী চ্যালেঞ্জ

এই জয়ের ফলে ম্যান সিটি ২২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করে এবং নক আউটে চলে যায়। আটটি ম্যাচে তারা ১১ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে যা তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। তবে সিটির সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। পরবর্তী পর্বে তারা রিয়াল মাদ্রিদ বা বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হতে পারে। গ্রুপ পর্বে এই পারফরম্যান্সের পর সমর্থকদের চিন্তা তারা কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছানোর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে কিনা।

এই জয় পেপ গুয়ার্দিওলার দলের জন্য অনেক কিছু বদলানোর সম্ভাবনা তৈরি করেছে। কিন্তু আগামী ম্যাচগুলোতে তাদের আত্মবিশ্বাস এবং কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলার প্রস্তুতি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।