২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ ঝুলে, ভবিষ্যৎ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত শুনানি

সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল প্রায় ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ! এসএসসি (SSC Case) মামলার শুনানি শেষ হল না আজও। গত কয়েকদিন ধরেই চলছিল এই মামলা নিয়ে…

Supreme Court to Conclude SSC Hearing on February 10"

সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল প্রায় ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ! এসএসসি (SSC Case) মামলার শুনানি শেষ হল না আজও। গত কয়েকদিন ধরেই চলছিল এই মামলা নিয়ে শীর্ষ আদালতে বিতর্ক এবং তার সমাধান। চাকরি নিয়ে প্রায় ২৬ হাজার প্রার্থীর (SSC Case) মধ্যে যাদের নিয়োগ বাতিল হয়ে যেতে পারে, তাদের ভবিষ্যৎ এখন অবধি অস্পষ্ট। আসল কথা হলো, আদালত জানতে চাইছে, যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা সম্ভব কি না। এই প্রশ্নের উত্তরই এখন নির্ধারণ করবে কতজন প্রার্থী চাকরি পাবেন এবং কতজনের চাকরি বাতিল হবে।

গত সোমবারও মামলার শুনানি শেষ হয়নি, এবং পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি। সেইদিনই প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না মামলার শুনানি শেষ করার চেষ্টা করবেন এবং তারপর রায় প্রদান করবেন। গত সপ্তাহে আদালতে এসএসসি-তে চাকরি বাতিল নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পর আশা ছিল, অন্তত কিছুটা সমাধান হবে। তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি, এবং মামলার শুনানি আরও পিছিয়ে গেছে। এবারও আদালতের সামনে মূল প্রশ্ন ছিল, রাজ্য সরকার যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করতে পারবে কি না।

   

এই মামলার মূল বিষয়বস্তু হলো ২০১৬ সালের এসএসসি (SSC Case) পরীক্ষার ফলাফল এবং তার ভিত্তিতে প্রায় ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ। গত কয়েক বছরে এই নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, যার ফলস্বরূপ কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয় এবং সুপ্রিম কোর্টে সেটি পৌঁছায়। এখানে মামলাকারীরা দাবি করছে, রাজ্য সরকার যোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করতে পারবে না। তাই তাদের প্রস্তাব হলো, সকল প্রার্থীর জন্য ফের পরীক্ষা নেওয়া হোক। তবে তারা এই পরীক্ষায় বয়সসীমা তুলে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে, যাতে বয়সের কারণে কেউ বাদ না পড়ে।

এদিন শুনানির সময়, বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষ থেকে সওয়াল করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, এসএসসি, বোর্ড এবং রাজ্য সরকার মোট ১৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে, এবং প্রত্যেকে ৫০০ কোটি টাকা করে নিয়েছে। তার মতে, এই টাকার মাধ্যমে অনেক অযাচিত টাকা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযোগ ওঠে যে, চাকরি প্রাপকরা ৭-১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। বিকাশরঞ্জন এই জন্য এসএসসি-কে জরিমানা করার পক্ষেও সওয়াল করেন।

সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালে অন্যান্য পক্ষের আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন, তবে শেষ পর্যন্ত আদালত একটাই প্রশ্ন রেখে গেল, “যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব কি না?” যদি তা সম্ভব হয়, তবে যোগ্য প্রার্থীদের রেখে অযোগ্যদের চাকরি বাতিল করা হবে। তবে বিকাশরঞ্জন এর উত্তর হিসেবে বলেন, এসএসসি জানেই না, কাদের নিয়োগ বৈধ!

এখন দেখার বিষয় হলো, ১০ ফেব্রুয়ারির শুনানির পর আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের পরই ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে, যা কোটি কোটি মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে।