East Bengal : রিচার্ডের আগমনে ‘রিচার্জড’ মশালবাহিনী

ভারতের ফুটবল (Indian Football) প্রেমীরা প্রত্যাশা করেছিলেন যে নতুন বছরের প্রথম দিকেই ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) পুরনো ছন্দে ফিরবে। তবে,এফসি গোয়ার (FC Goa) বিপক্ষে ১-০ পরাজিত…

East Bengal FC new footballer Richard Celis

ভারতের ফুটবল (Indian Football) প্রেমীরা প্রত্যাশা করেছিলেন যে নতুন বছরের প্রথম দিকেই ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) পুরনো ছন্দে ফিরবে। তবে,এফসি গোয়ার (FC Goa) বিপক্ষে ১-০ পরাজিত হওয়ার পরও কিছু আশাব্যঞ্জক দিক ছিল। তা হল দলের নতুন ফুটবলার রিচার্ড সেলিসের (Richard Celis) দারুণ অভিষেক। ভেনিজুয়েলা থেকে আসা ২৮ বছর বয়সী উইঙ্গার, লাল-হলুদ জার্সি গায়ে প্রথমবারের মতো আইএসএল (ISL) টুর্নামেন্টে খেলতে নেমেছিলেন। যদিও ম্যাচটি হারাতে হয়েছিল, তবে সেলিসের পারফরম্যান্স অনেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সেই ম্যাচ থেকেই তার ভবিষ্যতের পারফরম্যান্স নিয়ে আশাবাদী ছিল সমর্থকরা। সেই মতো কেরালা ম্যাচেও জ্বলে উঠতে দেখা গেল মশাল ব্রিগেডের এই নতুন বিদেশি ফুটবলারকে।

   
৩. প্রতিরক্ষাতেও যথেষ্ট কার্যকর

বর্তমান যুগে ফুটবল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং এবং প্রতিকূল হয়ে উঠেছে। যেখানে আক্রমণভিত্তিক খেলোয়াড়দেরও সুরক্ষিত থাকার দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেক্ষেত্রে রিচার্ড সেলিস তাতে বেশ চমৎকার পারফর্ম করেছেন। যখন গোয়া আক্রমণ করছিল, সেলিস একাধিকবার নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে বল পুনরুদ্ধার করেছেন এবং প্রতিপক্ষের আক্রমণকে ব্যাহত করতে সাহায্য করেছেন।

এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় সেলিস কেবল আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় নন। বরং সে দলের রক্ষণভাগের কাজেও পারদর্শী। এর ফলে ইস্টবেঙ্গল তার প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করতে পারে এবং দ্রুত ট্রানজিশনে আক্রমণ চালাতে সক্ষম হতে পারে। সেলিসের মধ্যে এই গুণটি হতে পারে পূর্ব বাংলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. গোলের সুযোগ খুঁজে পান

লাল-হলুদ শিবির মানোলো মার্কুয়েজের এফসি গোয়ার বিপক্ষের ম্যাচে মোট ছয়টি শট অন টার্গেট নেয়। যার মধ্যে তিনটি শট ছিল সেলিসের। ২৮ বছর বয়সী উইঙ্গার অত্যন্ত আক্রমণাত্মক মনোভাবের অধিকারী। সে শুধু সহকর্মীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে না, বরং নিজের জন্যও একাধিক সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম। যার ফলে সেলিসের এই আক্রমণাত্মক মনোভাব, দলকে গোলের ক্ষেত্রে আরও কার্যকরী করে তুলবে।

১. গতিতে ও কাউন্টার-আক্রমণে বিশাল শক্তি

ইস্টবেঙ্গল যে কারণে সেলিসকে নিয়ে এসেছিল, তা হল দলের আক্রমণভাগে গতিশীলতা এবং দ্রুততার অভাব। সেলিসের অভিষেক ম্যাচটি তা প্রমাণ করেছে। ম্যাচের প্রথম থেকেই তিনি বল পেলে নিজের গতির মাধ্যমে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের একের পর এক হতাশ করেছেন। তিনি একাধিকবার গোয়া ডিফেন্ডার বোরিস সিংকে পেছনে ফেলেছেন। মাঠে তার ধারাবাহিক গতির প্রমাণ দিয়ে, সে কাউন্টার-আক্রমণে দারুণ সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

রিচার্ড সেলিসের অভিষেক বহু ক্ষেত্রে ইতিবাচক দিক প্রমাণ করেছে। যদিও ইস্টবেঙ্গল ওই ম্যাচে জয় পায়নি, তবুও সেলিসের পারফরম্যান্স থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নেওয়া যায়। তার আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি, রক্ষণের দায়িত্ব পালন এবং অসাধারণ গতি দলের জন্য অতিরক্ত শক্তি হিসেবে কাজ করবে। যার ফলে তিনি দলের আক্রমণাত্মক খেলা এবং কাউন্টার-আক্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হবে।