ভয়াবহ পরিস্থিতি মেডিক্যালে, প্রসূতির অস্ত্রোপচারের সময় অ্যাসিড দিয়ে পরিষ্কার!

পশ্চিমবঙ্গের উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল (Medical Hospita) কলেজ হাসপাতালে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে প্রসূতির অস্ত্রোপচারের সময় মিউরিয়াটিক অ্যাসিড দিয়ে OT পরিষ্কার করা হচ্ছে। এটি একটি…

Shocking Scene at Uluberia Medical: Acid Used to Clean Floor During Obstetric Surgery

পশ্চিমবঙ্গের উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল (Medical Hospita) কলেজ হাসপাতালে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে প্রসূতির অস্ত্রোপচারের সময় মিউরিয়াটিক অ্যাসিড দিয়ে OT পরিষ্কার করা হচ্ছে। এটি একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা, যা হাসপাতালের চিকিৎসা প্রোটোকল এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানের দিকে প্রশ্ন তুলেছে। গত কয়েক দিন ধরে স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবনতির বিষয়টি রাজ্যজুড়ে আলোচিত হয়ে আসছে, বিশেষ করে মেদিনীপুরে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে।

উলুবেড়িয়া হাসপাতালের (Medical Hospita)  OT-তে যখন প্রসূতির অস্ত্রোপচার চলছিল, তখন ঘরের মেঝে পরিষ্কার করতে মিউরিয়াটিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হচ্ছিল। এমন একটি পরিবেশে অস্ত্রোপচার চলানো কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, স্ট্রেচারে শুয়ে থাকা রোগী এবং একই সময়ে OT-তে অ্যাসিড দিয়ে মেঝে পরিষ্কার করা হচ্ছিল। এর ফলে এসিডের ঝাঁঝে কাশি শুরু হয় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের, যা আরও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

   

এই ঘটনার পরেই উলুবেড়িয়ার OT প্রোটোকল নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গেছে, ড্রাগ কর্নারের নীচে কাদা ছিল এবং মেঝে সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে অস্ত্রোপচার করা কতটা নিরাপদ এবং রোগীর শরীরে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কতটা, তা নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করা জরুরি।

মেদিনীপুরে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে উঠে এসেছে যে, সেপটিক শকেই তার মৃত্যু হয়েছিল, যা সংক্রমণের কারণে ঘটেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, যে স্যালাইন বিভ্রাট এবং OT প্রোটোকল না মানার কারণে মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, মেদিনীপুরে OT প্রোটোকল যথাযথভাবে মানা হয়নি এবং এটি একটি গাফিলতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু উলুবেড়িয়ায় একই ধরনের পরিস্থিতি কীভাবে সৃষ্টি হল, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কার্যক্রম নিয়ে রাজনৈতিক নেতারা তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত। এটি সংশোধন করার কোনও প্রচেষ্টা নেই।” জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতে বলেন, “২০২৩-২৪ সালের মধ্যে মেটার্নাল ডেথের মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো প্রেগন্যান্সি এবং কিডনির সমস্যা, হিমোলাইসিস, কোয়াগুলাপ্যাথি, শক ইত্যাদির কারণে হয়েছে। স্বাস্থ্যভবন কী ভূমিকা নিচ্ছে? OT গুলোর কী অবস্থা?”

এ ধরনের ঘটনা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে গভীর সংকেত পাঠাচ্ছে, যেখানে রোগীর নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যসেবার মানে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। প্রসূতির অস্ত্রোপচার চলাকালীন এমন ধরনের ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।