কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। আজ, সোমবার সাজা ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। পড়ুয়া চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চূড়ান্ত সাজা, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে তাঁর৷ এদিন মুর্শিদাবাদে রওনা দেওয়ার আগে তাঁর ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷
সঞ্জয়ের ফাঁসি চাইলেন মমতা
ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমিও চাই দোষীর ফাঁসি হোক। আমি নিজেও ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। অনেকেই রাস্তায় নেমেছিলেন। আমরা পরপর ৩টে কেসে ফাঁসি করে দিয়েছি। প্রতিটি কেসেই ৫৩-৫৪ দিনের মাথায় ফাঁসি করে দিয়েছি। তবে বিচারককে অনেক কিছু খতিয়ে দেখে নিতে হয়। তাই একটু সময় লাগবেই। আমাদের পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছে। এই কেসেও সুবিচার চাই।’’
এদিন সঞ্জয়ের বক্তব্য আজ শুনবেন বিচারক অনির্বাণ দাস। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে আজ সঞ্জয় ঠিক কী বলবেন, সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের। তাঁকে কী সাজা দেওয়া হবে সে দিকেও তাকিয়ে গোটা রাজ্য তথা দেশ৷
শনিবারই দোষী সাব্যস্ত হন সঞ্জয়
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত জুনিয়র চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের মামলায় শনিবারই সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত৷ বিচারক সেদিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সঞ্জয়ের অপরাধ প্রমাণিত। সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে তাঁর৷ ওইদিন আদালতের বক্তব্য শোনার পরই চিৎকার শুরু করেছিলেন সঞ্জয়৷ নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে৷ যাঁরা আসল দোষী তাঁদের ধরা হচ্ছে না কেন? আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা রয়েছে৷ আমি অপরাধ করলে মালা ছিড়ে পড়ে যেত৷’’
ইতিমধ্যে আদালতে পৌঁছে গিয়েছে নির্যাতিতার বাবা-মাও৷ তাঁরা বলেন, “অন্তত ৫০ জন জড়িত রয়েছে। আমরা দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে যাব। সঞ্জয়ের কঠোরতম শাস্তি হোক৷”