বিদ্রোহী কবি ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের পৌত্র বাবুল কাজী অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত। তাঁর মৃত্যুর কারণ গ্যাস লাইটার। গুরুতর জখম কবি পৌত্রের চিকিৎসা চলছিল ঢাকায়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন
কবি নজরুলের আত্মীয়রা বাংলাদেশ ও ভারতে ছড়িয়ে আছেন। বাংলাদেশে থাকা কবির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোরে ঢাকার উত্তরায় নিজের বাড়িতে সিগারেট ধরাতে গেলে গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে আহত হন বাবুল কাজী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাঁর চিকিৎসায় ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। ইনস্টিটিউটের পরিচালক মারুফুল ইসলাম জানান, বাবুল কাজীর শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। তাকে আইসিইউতে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। তিনি প্রয়াত হয়েছেন।
প্রয়াত বাবুল কাজীর বাবা আবৃত্তিকার কাজী সব্যসাচী, মা উমা কাজী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন বাবুল কাজী। তার বড় দুই বোন খিলখিল কাজী ও মিষ্টি কাজী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর যখন কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে কলকাতা থেকে নিয়ে আসা হয়, তখন কবি পরিবারের কিছু সদস্যসহ বাংলাদেশে চলে আসেন কাজী সব্যসাচী।