এখন থেকে ইচ্ছে হলেই আর গাড়ি কিনতে(Car Buying Rules) পারবেন না মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা। গাড়ি কেনার আগে ক্রেতাদের পার্কিং স্পেস বা গাড়ি রাখার জায়গা থাকা বাধ্যতামূলক হবে। রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী প্রতাপ সরনায়ক মঙ্গলবার জানান, শহর ও শহরতলিতে বেড়ে চলা যানজট (Car Buying Rules) এবং পার্কিং সমস্যার সমাধান করতে এই নতুন নিয়মের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এমন নিয়ম কেন আনা হচ্ছে? পরিবহন মন্ত্রী জানিয়েছেন, শহরের যানজট বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, মানুষের বাড়ির পার্কিং স্পেসের অভাব। এক বেডরুমের ফ্ল্যাটেও অনেকেই ঋণ নিয়ে এক বা একাধিক গাড়ি (Car Buying Rules) কিনছেন, কিন্তু পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না থাকার কারণে সেগুলি রাস্তাতেই পার্ক করা হচ্ছে। এর ফলে যানজট (Car Buying Rules) বাড়ছে এবং জরুরি মুহূর্তে অ্যাম্বুলেন্স বা দমকল বাহিনী রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
এ প্রশ্ন উঠছে, এতে কি মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তদের গাড়ি কেনার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে? মন্ত্রীর মতে, “আমরা বলছি না যে গরিব-মধ্যবিত্তদের গাড়ি কেনা উচিত নয়। কিন্তু তাদের যদি গাড়ি কেনার ইচ্ছে থাকে, তবে সেই গাড়ি রাখার উপযুক্ত স্থান থাকতে হবে। পার্কিং স্পেস থাকলে তবেই গাড়ি কিনুন।”
তিনি আরও জানান, এই নতুন নিয়ম অনেকেই সমর্থন করবেন, আবার কেউ কেউ এর বিরোধিতা করবেন। তবে যানজট কমাতে সরকারের পদক্ষেপ নিতেই হবে। কারণ, শুধু যানজটই নয়, এক্ষেত্রে পার্কিংয়ের অভাবে অন্যান্য জরুরি পরিষেবা, যেমন অ্যাম্বুলেন্স, দমকল বাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা পরিচালনা করাও কঠিন হয়ে পড়ছে।
এছাড়া, পরিবহন মন্ত্রী মহারাষ্ট্রের মুম্বই মেট্রোপলিটন অঞ্চলে গণপরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত করার কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, ‘কেবল ট্যাক্সি সিস্টেম’ নামে একটি নতুন প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা মুম্বইয়ের যানজট কমানোর লক্ষ্যে। মন্ত্রীর মতে, এই প্রকল্পকে কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়করীও প্রশংসা করেছেন।
এখন দেখার বিষয়, সরকার এই নিয়ম কার্যকর করার পর সাধারণ জনগণের প্রতিক্রিয়া কী হয়। অনেকেই হয়তো এই নতুন নিয়মের সমর্থন করবেন, কারণ এটি শহরের পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরো সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদ করে তুলতে সহায়তা করবে। তবে, যারা গাড়ি কেনার ইচ্ছে পোষণ করছেন এবং পার্কিং স্পেসের অভাবে এই নিয়মে বাধাপ্রাপ্ত হবেন, তাদের জন্য এটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
মহারাষ্ট্র সরকার এই নিয়ম নিয়ে আরও আলোচনা করবে এবং মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস ও উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।